সিপিএলে দ্রুততম ফিফটি ডুমিনির, বড় জয় সাকিবদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেই ক্যারিবিয়ান সুপার লিগে (সিপিএল) খেলতে গেছেন সাকিব আল হাসান। এবার বার্বাডোজ ট্র্রাইডেন্টসের হয়ে খেলবেন তিনি। টানা খেলা ও ভ্রমণ ক্লান্তিজনিত কারণে দলটির হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলা হয়নি তার। অবশ্য তাকে ছাড়াই ৬৩ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছেন ট্র্রাইডেন্টসরা।

বৃহস্পতিবার রাতে কেনিংস্টন ওভালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বার্বাডোজ। নেমেই চার-ছক্কার ঝড় তোলেন জনসন চার্লস ও জোনাথন কার্টার। ওপেনিং জুটিতে দলকে ১১০ রান এনে দেন তারা। তাদের বিচ্ছিন্ন করেন সুনীল নারাইন। তবে এর আগেই দুই ওপেনার অর্ধশতক করে ফেলেন। চার্লস ৫৮ ও জোনাথন করেন ৫১ রান।

এর পর ব্যাটিংয়ে এসে তোপ দাগান জেপি ডুমিনি। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে ত্রিনবাগো বোলারদের কচুকাটা করেন তিনি। মাত্র ১৫ বলে ৫০ রান করেন এ প্রোটিয়া ব্যাটার, যা সিপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। ২০ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৬৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ফেরেন ডুমিনি।

অবশ্য শেষটা ভালো হয়নি বার্বাডোজের। এ সময়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সাকিবের দল।

জবাবে ওপেনিংয়ে নেমে পাল্টা দেয়ার আভাস দেন সুনিল নারাইন। কিন্তু তার ঝড় থামে দ্রুতই। মাত্র ৯ বলে ১৯ রান করে জেসন হোল্ডারের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এর ধারাবাহিক বিরতিতে যাওয়া-আসা করেন নাইট রাইডার্সরা।

একে এ মিছিলে যোগ দেন লেন্ডন সিমন্স, কলিন মুনরো, দীনেশ রামদিন, ড্যারেন ব্রাভো। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ব্রাভোই। ২৩ রান আসে মুনরোর ব্যাট থেকে। অধিনায়ক পোলার্ডের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান।

শেষ পযর্ন্ত বার্বাডোজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ১৭.৪ ওভারে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় ত্রিনবাগো। সাকিবদের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন ওয়ালশ। এদিন বল হাতেও সফল ডুমিনি। তিনি দখলে নেন ২ উইকেট।