সিনহা হত্যা মামলার সব আলামত বুঝে পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা

র‌্যাবের হাতে থাকা মেজর সিনহা হত্যা মামলার সব আলামত বুঝে পেয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পাশাপাশি আদালতের আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার রামু থানা থেকে শিপ্রা ও সিফাতের বাকি ২৯টি ডিভাইস বুঝে নেয়া হবে।

বুধবার র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা মামলায় ৯ পুলিশকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। উক্ত মামলায় বর্তমানে আদালতের মাধ্যমে বরখাস্ত ৭ পুলিশ র‌্যাবের রিমান্ডে রয়েছে। বাকি ২ পুলিশ সদস্যদের পরিচয় ও তথ্য প্রদান করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজারের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

সিনহা হত্যাকাণ্ডের সব কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে পেশাদায়িত্ব নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এই স্পর্শকাতর মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, র‌্যাবের কাছে রিমান্ডে থাকা ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের রিমান্ড আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শেষ হচ্ছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। যদি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেন তাহলে পরবর্তীতে যে কারো রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করবেন।

এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জকে ২৫ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত থানার সিসিটিভি ক্যামরার ফুটেজ প্রদানে লিখিত আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে টেকনাফ থানার ওসি জানিয়েছেন থানায় ২টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এরমধ্যে একটির ডিভাইস নষ্ট, অপর একটির ডিভাইস পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে কক্সবাজারের নীলিমা রিসোর্ট থেকে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের জব্দকৃত মালামাল র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিকালে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এই আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, শিপ্রা দেবনাথ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার বেশকিছু ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হন শিপ্রা। তার অভিযোগ, রামু থানায় সংরক্ষিত মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্যান্য ডিভাইস থেকেই এসব ছবি ও ভিডিও বাইরে ছড়ানো হয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর