সিংড়ায় মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য অর্থ আদায়ের অভিযোগ

সিংড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১১নম্বর ছাতারদীঘি ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আ’লীগের মেম্বার মো. সুলতান আহমেদ এর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা সহ বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী প্রায় দশ জন এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই ওয়ার্ডের আ’লীগের মেম্বার মো. সুলতান আহমেদ প্রতিবন্ধী, পঙ্গু ও বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার জন্য ইউনিয়নের দামকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সাইচ ফকিরের কাছ থেকে ৫হাজার টাকা, একই গ্রামের বাবু ফকিরের কাছ থেকে ২ হাজার দুইশত টাকা, ছামাদ ফকিরের কাছ থেকে ২ হাজার পাঁচশত টাকা, সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে এক হাজার টাকা, মাসুদ প্রামাণিকের কাছ থেকে এক হাজার পাঁচশত টাকা, করচমারিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা, একই গ্রামের আকবর সরদারের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং শ্রীরামপুর গ্রামের সাহিদা বেগমের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা আদায় করেন। কিন্তু তাদের কার্ড অথবা কোন রকম সহযোগিতা করা হয়নি।

ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল বলেন, বয়স্কভাতা কার্ড পেতে দাপ্তরিক খরচের জন্য ২হাজার টাকা লাগবে বলে জানান মেম্বার সুলতান। আমরা গ্রাম্য মানুষ অফিস আদালত কিছুই চিনি না। নিরুপায় হয়ে তাকে ২হাজার টাকা দেই। কিন্তু পরে আর কোন কার্ড পায়নি।

ভুক্তভোগী সাহিনা বেগম বলেন, হঠাৎ তার স্বামীর মৃত্যুর কারণে সরকারীভাবে অনুদান পাইয়ে দেয়ার কথা বলে দশ হাজার টাকা নেয়। পরে তাকে কোন অনুদান দেয়া হয়নি। বরং টাকা ফেরত চাইলে মেম্বার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। আরেক ভুক্তভোগী গৃহিনী নাইমা খাতুন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চাকুরীর কথা বলে তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ২৬ ডিসেম্বর ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত মেম্বার সুলতান আহমেদ বলেন, আবু সাইদ নামের এক গাঁজা খোরকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় তার নামে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বৃহস্পতিবার অভিযোগকারীদের ডেকে সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে। এখন সরোজমিনে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে একজন ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করায় প্রতিয়মান হয় যে, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় সত্যতা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।