সিংড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন পরিষদের আ’লীগ সমর্থিত (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আনিত অভিযোগগুলো লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ছয় জন সদস্য। ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির পদেও রয়েছেন।
সুত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার ৬ নং হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বড়সাঐল গ্রামে জনগণের পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো (সেতু) নির্মাণের কথা বলে ৬০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প দেখিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অথচ গ্রামবাসী নিজেদের বাঁশ, টাকা ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে ওই সাঁকো নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া গেল ১৯ আগস্ট ১১৮ জন নারী-পুরুষের মধ্যে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা হাতিয়ান্দহ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা দেওয়ার সময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য নজরুল, চেয়ারম্যানের কর্মী ফারুক ও দফাদার নুহ আলম তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা করে মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করেন।
তবে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমি বাঁশের সাঁকোর জন্য কোনো টাকা তুলিনি। আর আমার জানা মতে ওই বাশের সাকো নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল ইসলাম এখন পর্যন্ত কোন চেকও গ্রহণ করেননি। তিনিই এ বিষয়ে বলতে পারবেন। তবে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে জনবান্ধব চুলা বিতরণের জন্য। এই সিদ্ধান্তটি আমার একার নয়, এটা উপজেলা পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ইউপি সদস্যদের বেতন বকেয়া থাকায় কয়েকজন সদস্য তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন।
নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/শা
