সারের কৃত্রিম সংকট ও নায্যমূল্য নিশ্চিতকরনের দাবিতে কৃষি কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সারের কৃত্রিম সংকট ও নায্যমূল্য নিশ্চিতকরনের দাবিতে কৃষি কর্মকর্তা অবরুদ্ধ করছে কৃষকরা। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার কাঁকন হাট পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স জিকে ট্রেডাসের সত্ত্বাধিকারী তুহিনা আক্তার স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় নানান অনিয়ম করে সারের বেশি দাম ও সংকট দেখানোর প্রতিবাদে তাদেরকে আটক করে স্থানীরা।

কৃষকরা তার বিরুদ্ধে সার কালোবাজারি করে বেশি দামে বিক্রিয়, সার না আনা কৃত্রিম সংকট তৈরি, কৃষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যাবহার, সময় মতো সার না দেওয়ার অভিযোগ করেন। তারা জানায় ডিলার পটাশ সার ১৭০০-১৮০০টাকা দাম নিলেও এর সরকারি বিক্রয় মূল্য ৭৫০টাকা, টিএসপি সার ১১০০ টাকায় বিক্রির নিয়ম থাকলেও নিচ্ছেন ২০০০টাকা, ডিএপি সারের দাম নিচ্ছেন এভাবেই। কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে এসব করছে ডিলার বলে কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কৃষকদের সাথে ডিলাররের অপকর্মের বিরুদ্ধে কৃষকদের অভিযোগ তুচ্ছ করে কৃষি কর্মকর্তা ডিলারকে বিক্ষোভের হাত থেকে রক্ষা করতে আসলে তিনি অবরুদ্ধ হন। পরে কৃষকরা তাকে না ছাড়লে অফিসার স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সরনাপন্ন হন তারা।

এরপর রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে পাটানো হয় উর্ধতন কর্মকর্তাকে। পরে তারা ছাড়া পান। স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, চাহিদার তুলনায় কম সার দেন ডিলার। এছাড়ও বেশি দামে সার বিক্রি করে। এসব নিয়ে অভিযোগ করেও লাভ হয় নি। কাদিপুর গ্রামের আর এক চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, সারকারি দামের থেকেও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই। বেশি দামেও ঠিক মত স্যার দেয় না। তাই আজকে তাকে আটকিয়ে রেখেছিলাম। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন, অবুরুধ্ধ করার ঘটনা সঠিক নয়। আমার সেখানে গেলে তারা অডিরারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তবে স্যার ঠিক সময় মত না আসার করণে তরা সার দিতে পারে নি। আমার চেষ্টা করছি সময়মত স্যার দিতে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি দোকানে একটি করে লাল সালা টেঙ্গে দিয়ে এসেছি। সেখানে যে দাম আছে সেই দামেই সার বিক্রি করতে হবে। তিনি নতুন ডিলার হয়তো সব কিছু বুঝে উঠতে পারে নি। তাকউকে চাহিদাক মত স্যার দিয়েছে। আমাদের তাদেরকে বুঝিয়ে এসেছি। তবে অবরুদ্ধ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। মেসার্স জিকে ট্রেডাসের সত্ত্বাধিকারী তুহিনা আক্তার বিষয়টিঅস্বীকার করেন। তিনি বলেন আজকে কিছুই হয়নি। নিয়মিত সার বিতরণে মত টনা ঘটেছে। তাকে আটেক রাখার একটি ভিডিও কথা বলে তিনি বলেন, কৃষকদের অভিযোগ স্যারেরা শুনছিলেন। তারা চলে যাবার পর আবারও সার বিতরণ করা শুরু হয়।#