সারাবিশ্বে একইদিনে ঈদ-রোজা পালনের আহ্বান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সারাবিশ্বের সঙ্গে একই দিনে ঈদ উদযাপন এবং রমজান পালনের আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম উম্মাহ নামে একটি সংগঠন। শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এ সময়, ওআইসি’র নির্দেশনা তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা।

প্রতি বছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের একদিন পর বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ শুরু হয়। এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে দেখানো হয়, ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশ সৌদি আরবের পূর্বে অবস্থিত হওয়ায় একদিন পর চাঁদ দেখা যায়। আর এ কারণেই রোজা ও ঈদ উদযাপনের এই তারতম্য। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, সৌদি আরবের পূর্বের দেশ মালয়েশিয়া এমনকি ভারত, মিয়ানমারও এ বছর মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে একই দিনে রোজা পালন শুরু করে। এছাড়া ১৯৮৬ সালে ওআইসির ফিকাহ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- কোনো একটি দেশে চাঁদ দেখা গেলে সব মুসলিমকে সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে বলে জানান বক্তারা। বলেন, নতুন চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা এখানে কোনো বিষয় নয়।

ইসলামি চিন্তাবিদ মুফতি সাইয়্যেদ আব্দুস সালাম বলেন, ‘রমজান মুবারক ঢুকে যাচ্ছে শাওয়ালের মধ্যে, শাওয়াল ঢুকে যাচ্ছে জিল হজের মধ্যে। জিলহজ ঢুকে যাচ্ছে মহরমের মধ্যে।’

পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী বলেন, ‘এটা হলো একটা ছোট লেন্স। আর টেলিস্কোপ হল বড় লেন্স। দুটোর মধ্যে তফাৎ কোথায়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বে রমজান মাস শুরু হয়ে গেলেও বাংলাদেশে তা শুরু হয় এক বা দুদিন পর। এক্ষেত্রে অন্যরা ঈদ উদযাপন করলেও বাংলাদেশের মানুষ রোজা রাখেন- যা দুঃখ জনক। এছাড়া কোরবানি করার জন্য তিনদিন ধার্য থাকলেও বাংলাদেশে যেহেতু একদিন পর ঈদুল আজহা পালিত হয় সে কারণে তৃতীয় দিন যারা কোরবানি করবেন তাদেরটা মূলত চতুর্থদিন হয়ে যায়।

ইসলামি বক্তারা জানান, কোরবানি তিনদিনে করা যায়। কিন্তু সেটা শুরু এবং শেষ হবে একই নিয়মে। তবে, বিনা ওজরে জিলহজে ঈদের নামাজ না পড়লে ওয়াজিব তরক হবে। এবং গুনাহ হবে।

এছাড়া অনেক সময় চাঁদ দেখা কমিটি যথেষ্ট সময় অপেক্ষা না করে তড়িঘড়ি বৈঠক শেষ করে ফেলে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।