সারাদেশে এবার ৩২৪০৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
গত বছর এ সংখ্যাটি ছিলো ৩২ হাজার ১৬৮টি৷ এ বছর ঢাকা মহানগরীতে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ২৪৫টি মন্দিরে, গত বছর এ সংখ্যাটি ছিলো ২৪২টি।

এতে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সহ সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জি, তাপস কুমার হাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, কিশোর রঞ্জন মণ্ডলসহ আরও অনেকে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে দুর্গোৎসব আসছে, তাতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

চলতি বছর দুর্গাপূজার আগে দেশের ৩৫টি স্থানে মন্দির, মণ্ডপে হামলা ও ভাংচুরের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন পরিষদ নেতারা।

চন্দ্রনাথ পোদ্দার লিখিত বক্তব্যে বলেন, এই সময়টিতে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা বেড়ে যায়, আমাদের উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত করে। সারা বছর বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, জায়গাজমি ও মন্দির-শ্মশান জবরদখল, অপহরণ করে ধর্মান্তরিতকরণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পূজাকে সামনে রেখে হামলা বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে প্রায় দশটা জেলা থেকে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়েছি আমরা।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

আলোচনা শেষে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন পরিষদ নেতারা।
চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, আগামী জানুয়ারি ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দুঃখজনক বাস্তবতায় ‘নির্বাচন ও নির্যাতন’ ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী নির্বাচনের পূর্বাপর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য বর্তমান সরকার এবং সকল ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি যথাযথ ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানাই। বিশেষ করে অতীতে যে সকল ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক নির্যাতন নিপীড়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা রেখেছে, তাদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী না করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।

তাছাড়া আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব, লক্ষ্মীপূজা ও কালীপূজা চলাকালীন সময় কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।