সামি-বুমরার দাপটে ভারতের দুর্দান্ত জয়

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সামি-বুমরাদের দাপট। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১১৩ রানে জিতল ভারত। সেঞ্চুরিয়ানে এই প্রথমবার টেস্ট জিতল ভারত। এবং এই নিয়ে চতুর্থবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট জিতল ভারত। ২০২১ সালটা জয় দিয়ে শেষ করল কোহলি-দ্রাবিড় জুটি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত এক ক্যালেন্ডার বছরে এশিয়ার বাইরে চারটি টেস্ট জিতেছে (ব্রিসবেন, লর্ডস, ওভাল, সেঞ্চুরিয়ান)। এর আগে ২০১৮ সালে জোহানেসবার্গ, নটিংহ্যাম, অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নে জিতেছিল ভারত।

বক্সিং ডে টেস্টের শেষ দিনের খেলা ছিল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর)। পঞ্চম দিন বিকেল বেলায় সেঞ্চুরিয়ানে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটা সেশন পুরো ব্যাট করলেও দ্বিতীয় সেশন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের বেশিক্ষণ টিকতে দেননি ভারতীয় বোলাররা। যার ফলে ১১৩ রানে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতল কোহলির ভারত।

সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম দিন নির্বিঘ্নে খেলা হলেও, দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। তৃতীয় দিন শুরু থেকেই পিচ একদম অন্যরকম আচরণ করা শুরু করে। সাহায্য পেতে থাকেন প্রোটিয়া বোলাররা। ২৭২-৩ এই স্কোর নিয়ে মাঠে নেমে ৩২৭ রানে থামে ভারতের প্রথম ইনিংস। তৃতীয় দিন স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫৫ রান যোগ করে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে কোহলির ভারত। তবে এখানেই শেষ নয়, প্রোটিয়াদের ইনিংস শুরু হতেই একই সুবিধা পান সামি-বুমরা-শার্দূলরা। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ১৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় ডিন এলগারদের প্রথম ইনিংস।

 

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৫০.৩ ওভার খেলে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতের কোনও ক্রিকেটার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে টিম ইন্ডিয়া ৩০৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ঋষভ পন্থ (৩৪)। ৪টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা এবং মার্কো জ্যানসেন। ২টি উইকেট পান লুনগি এনগিডি।

প্রথম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে ম্যাচ জিততে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ২১১ রান এবং টিম ইন্ডিয়ার প্রয়োজন ৬টি উইকেট। একটা সেশন পুরো খেলে লাঞ্চ বিরতিতে যায় দুই দল। তবে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে দিক্ষিণ আফ্রিকাকে বেশিক্ষণ খেলা এগুতে দেননি অশ্বিন-সামিরা। ১৯১ রানে থেমে যায় প্রোটিয়ারা। যার ফলে এই মুহূর্তে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। প্রোটিয়াদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেছেন ক্যাপ্টেন ডিন এলগার (৭৭)। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন জাশপ্রীত বুমরা এবং মোহম্মদ সামি। এবং ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মোহম্মদ সিরাজ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন