শনিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ভাইরাল সেই চিঠির পরে কি প্লট পেয়েছিলেন জয়?

Paris
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

বেশ কয়েকবার চিঠিটি ভাইরাল হয়েছে। যতবার ভাইরাল হয়েছে ততবারই আলোচনার বিষয় হয়েছে সেই চিঠি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও শেখ হাসিনা পলায়নের পর আবারও নতুন করে কয়েক দিন আগে ভাইরাল হয়েছিল সেই চিঠি। চিঠিটি লিখেছেন আলোচিত উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়।

বরাবর, শেখ হাসিনা। তবে সেই চিঠি বারবার ভাইরাল ও আলোচনার কারণ এটির ভাষা।
চিঠিটি ২০১৪ সালে লেখা। পূর্বাচলে একখণ্ড জমি পাওয়ার আশায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা বলে সম্বোধন করে সেই চিঠি লিখেছিলেন জয়।

চিঠির শুরুতেই শেখ হাসিনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা সম্বোধন করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়।
এরপর তিনি লিখছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।

শেখ হাসিনার রাজনীতির প্রশংসা জানিয়ে জয় লেখেন, ‘আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তা-ই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের ওপর বলীয়ান ছিলেন, তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে।’

আবেদনের তৃতীয় প্যারায় তিনি নিজের চাওয়া স্পষ্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সকল শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা, ৫ কাঠার প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি।

পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি।’
আবেদনপত্রটি তিনি শেষ করেছেন পূর্বাচলে একটি প্লটের জোরালো দাবি জানিয়ে। তিনি লেখেন, ‘মা, পূর্বাচলে একটা জমি আমার স্বপ্ন- আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমি আপনার কাছে আবদার করলাম, আপনি আপনার এই সন্তানের আবদার ফেলে দেবেন না আমি জানি (ইনশাআল্লাহ)।’

ওই আবেদনপত্রে জয়ের ছবির পাশে তৎকালীন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সিলও রয়েছে। সুপারিশকারী হিসেবে তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের স্বাক্ষরও রয়েছে।

কয়েক দিন আগে নতুন করে চিঠিটি প্রকাশ্যে আসার পর সেটির দায় স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্টও দিয়েছিলেন জয়। আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জয় লেখেন, ‘আলো আসবে গ্রুপে পান নাই। ইউটিউবারদের ষড়যন্ত্রে পান নাই। তাই বলে আমাকে ছেড়ে দিবেন কেন? ২০১৪ সালের একটি চিঠি এই নিয়ে ১৪ বার ভাইরাল করলেন। সাবেক সরকারের কাছ থেকে অনেকেই জমি নিয়েছেন। সেই প্লটগুলো ১৩-এ ধারা। এই সরকার ইতিমধ্যে সব প্লট বাতিল ঘোষণা করেছে। তার পরও ফেসবুকে এই চিঠি নিজস্ব লোকেরা পোস্ট করছেন আমার নাম্বার ভাইরাল করছেন এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করছেন। অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য। কিন্তু দেখেন, শাস্তিটা বেশি দিয়ে ফেলেন না। আল্লাহ তবে আপনাদেরও ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ যে আছেন এবং যথাসময়ে পাপের শাস্তি হয় তা আমরা তো সবাই বুঝে গেছি তাই না? ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্ত হন। সবাই মিলে ভালো থাকি। চলুন, সবাই যার যার ভুল সংশোধন করি।’

কিন্তু প্রশ্ন হলো, ওই চাটুকারিতামূলক চিঠির পরে জয় কি প্লট পেয়েছিলেন? এর উত্তর, হ্যাঁ। জয় প্রতিবেদকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আলাপকালে প্লট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কয়েক দিন আগে। তবে কোথায় বা কত কাঠার প্লট সেসব বিষয়ে কিছুই জানাননি। যেহেতু আবেদন পূর্বাচলের প্লটের জন্য করা হয়েছিল সেই হিসেবে পূর্বাচলেই প্লট পেয়েছেন বলে অনুমান করা যায়।

তবে প্লটটি নতুন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমলে এসে বাতিলও হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। পরে অনুরোধ করেন এসব নিয়ে প্রশ্ন না করতে। যা বলার তিনি সর্বশেষ পোস্টে বলেছেন বলে জানান।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - বিনোদন