সাপাহারে জবই বিল খননকালে আবারো মানবকঙ্কাল উদ্ধার

সাপাহার প্রতিনিধি:

সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে বিলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া দোহারা খাড়ী খননকালে আবরো ওই বিলের মহিষডাঙ্গা ঘাটে ব্রীজের দক্ষিণ পাশে মাটির তলা হতে মানব দেহের কঙ্কাল মাথার খুলি বুকের হাড়সহ প্রায় ৫ খণ্ড হাড় পাওয়া গেছে।

রোববার সকাল ১০টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন খাড়ী খননকালে ড্রেজার মেশিনের ফলার সাথে মানব দেহের কঙ্কাল উঠে এলে হাড়গুলো দেখতে পায়।

জানা গেছে, খননকাজ পরিচালনা করার সময় মাটির ৬-৭ ফিট নিচ থেকে আবারো এই মাথার খুলিসহ হাড়গুড় মেশিনের ফলায় উঠে আসে। সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আবারো এলাকার শত শত উৎসুক জনতা হাড়গুড়গুলো একনজর দেখতে বিলের ওই অংশে ভিড় জমায়। বহু পুরনো এই হাড়গুড়গুলো দেখে অনেক বয়স্ক মানুষ মন্তব্য করে বলেন, যেহেতু বিলটি জবই গ্রামের পাশে অবস্থিত সে কারণে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সাপাহার উপজেলার জবই গ্রামটি পাকবাহিনীর দোসর রাজাকার-আলবদরদের গ্রাম ছিল। স্বাধীনতার পরে অনেকেই ওই গ্রামটিকে দ্বিতীয় পাকিস্তান হিসেবে চিনত এবং স্বাধীনতার অনেক পরেও ওই গ্রামটিতে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ এর রেকর্ড বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় হয়ত রাজাকার ও পাকবাহিনীরা নিরীহ কোনো বাঙালী মানুষকে ধরে হত্যা করে হয়ত তাদের লাশ ওই এলাকায় পুঁতে রেখেছিল।

আবার অনেকের মতে, হাড়গুড়গুলো অতীতে কোন নৌকাডুবি মানুষেরও হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, গত ২৮ এপ্রিল বিলের অন্য অংশে ১০ পিস মানবদেহের কঙ্কাল/হাড় পাওয়া গিয়েছিল এবং প্রায় ৫ বছর পূর্বেও বিলের ওই খাড়ী খননকালে অসংখ্য হাড়গুড় পাওয়া যায়। সেময় ওই হাড়গুড়গুলো শিরন্টি ইউপি চেয়ারম্যান মাও. আব্দুল বাকি সংরক্ষণ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ’র সাথে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমিও লোক মুখে শুনেছি হাড়গুড়গুলো বহু পুরনো। সম্প্রতিকালের কোন ঘটনা না হওয়ায় সেগুলোকে অন্যত্র মাটির নিচে পুঁতে রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স/অ