সাপাহারে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ’র প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত খামারিরা

সাপাহার প্রতিনিধি:

নওগাঁর সাপাহারে গবাদি পশুর ভাইরাস জনিত চর্মরোগ ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ’র প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় চরম আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার খামারি ও গবাদি পশু লালন-পালনকারিরা।

উপজেলার খামারি সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন ও অন্যান্য গ্রামের গরু পালনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রথমে গরুর চামড়ার উপরিভাগের অংশে টিউমার জাতীয় উপসর্গ ও বসন্তের মতো গুটি গুটি দেখা যাচ্ছে। এরপর দু-একদিনের মধ্যেই গরুর সারা শরীর জুড়ে অসংখ্য গুটি গুটি হয়ে ঘায়ে পরিণত হচ্ছে। এ সময় গরুর শরীরে ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রী তাপমাত্রায় জ্বরও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে আক্রান্ত গরু খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে। অনেক সময় গরুর বুকের নিচে বা পেটের উপরিভাগে পানি জমে ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে এবং ক্ষতস্থান থেকে মাংস খুলে-খুলে পড়ছে।

এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় শঙ্কা ও আতঙ্ক আরো বাড়ছে খামারিদের মধ্যে। তবে শঙ্কিত না হয়ে খামারিদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন (ভারপ্রাপ্ত) প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশীষ কুমার দেবনাথ । তিনি  জানান- এ রোগ সাধারণত মশা, মাছি, আটালি, আক্রান্ত পশুর লালা, নাক-চোখের ডিসচার্জ, ষাড়ের বীর্য, আক্রান্ত গরু-মহিষের দুধ এবং বহুবার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মধ্যমে ছড়ায় এবং অনুকূল পরিবেশে কোন এলাকায় এ ভাইরাস ছয় মাস পর্যন্ত জীবিত থাকে। ভাইরাস জনিত এ চর্মরোগে শুধুমাত্র গরু-মহিষ আক্রান্ত হয়ে থাকে। ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু অত্যান্ত দুর্বল হয়ে ওজন কমে যায়, দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পায় এবং চামড়ার গুনগতমান নষ্ট হয়ে যায়।

উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়নেই এই রোগ ছড়িয়ে গেছে এবং ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে’ এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোথাও কোনো গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

স/শা