সাপাহারে আমের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা: ধানী জমি নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নওগাঁ সাপাহারে ধান চাষ করে ধানের দাম না থাকায়,ধান চাষ করতে যে পরিমান খরচ হয়েছে সে পরিমান খরচটুকু পর্যন্ত তুলতে পারেনি এই উপজেলার কৃষকেরা। তবে কৃষকরা আম চাষ করে  ভালো ফলন এবং ভালো দাম থাকায় ধানের লোকসান আমে পুষে নিতে পারছে ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। ফলে তারা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। রুজির প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে তারা অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। কৃষকরা তাদের ধানী জমিগুলো তাই অন্য কিছু চাষে ব্যবহার করবে। আম চাষ এই অঞ্চলে বেশ লাভজনক। তাই কৃষকরা তাদের জমিগুলোকে আম চাষে যদি ব্যবহার করে তাহলে উপজেলার ধানী জমির উপর বেশ প্রভাব পড়বে।

গত বছরের তুলনায় আমের ভালো ফলন ও ভালো দাম হওয়ায় কৃষকের ভাগ্য বদল।সাপাহার উপজেলায় এবার পাচঁ হাজার হেক্টর জমিতে গোপালভোগ, হিমসাগর,লকনা,নাক-ফজলি,ফজলি,নেংড়া,মল্লিকা,কালীভোগ,আমরুপালি সহ বিভিন্ন জাতের আম বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়েছে।

তবে বেশি লাভ এবং দেরিতে ওঠা আম বারি-৪,বারি-১১,গৌড়মতী,আরশিনা ঝিনুক এসব আম চাষে আগ্রহ হয়ে পড়েছে। এই উপজেলাতে বর্তমানে যে পরিমান আম বাগান গড়ে উঠেছে,তাতে এক সময় ধানীজমি সংকট সূষ্টি হতে পারে ধারণা করছে সংশ্লিষটরা।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীগণ বড় বড় আড়ৎ ঘর নিয়ে প্রতিদিন ট্রাক বোঝায় শত শত গাড়ি আম দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিচ্ছে।

উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল করিম,জবই গ্রামের আব্দুল জব্বার,শীতল গ্রামের কামরুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে আমের বাজারে ভালো দাম থাকায় আমরা অনেক লাভবান,তবে কোন সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়ে যেন আম বাজারে আমের দামে ধস না নামে,শেষ পর্যন্ত আমের দাম ভালো থাকে সে জন্য আম বাজারে স্থানীয় প্রশাসনের সু-নজর দাবি জানাই। আম সিজিনারি ফসল,তাই আম গুলো কিছুদিন সংরক্ষণ করে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে অধিক লাভে বাজার জাত করার জন্য সংরক্ষনে রাখা হয়। উপজেলার সংরক্ষনাগার স্থাপনের দাবিও জানান আম বাগান মহাজনগন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মজিবর রহমান জানান, সাপাহারে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টোর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হচ্ছে। প্রতি হেক্টোর জমিতে ১৭ মেট্রিকটন আম উৎপাদন হিসেবে সাপাহার উপজেলায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার মেট্রিকটন আমের উৎপাদন হচ্ছে।

স/জি