সাপাহারে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্য আটক

সাপাহার (নওগাঁ) পতিনিধি:

পুলিশের বিশেষ অভিযানে নওগাঁর সাপাহারে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্য আটক হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার উচাডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃত ডাকাত সদস্যরা হলেন- সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুরমোহাম্মাদের ছেলে আলম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মশরীভোজা গ্রামের বোধন মন্ডলের ছেলে পালাশ (৪০)।

থানা পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অনিক ড্রাগ হাউসের মালিক অনিল পালের ছেলে অনিক পাল তার দোকান বন্ধ করে নিজ বাসায় ফিরছিল। এমন সময় তার বাড়ীর কাছাকাছি পৌঁছলে একদল ডাকাত তার পথ রোধ করে হাসুয়া দিয়ে অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় অনিকের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসলে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন অনিককে দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে  বিষয়টি সাপাহার থানা পুলিশকে জানায়।

খবর পেয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান ও তদন্ত ওসি আল মাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপনে একটি অভিযানে নামেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডাকত দলের সদস্যরা উপজেলার উচাডাঙ্গা গ্রাম হতে একটি গরু ও একটি বাইসাইকেল নিয়ে ডাকাত দলের নিজস্ব ভুটভুটিতে উঠিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের টহলরত পিক-আপ ভ্যান দিয়ে তাদের ভুটভুটির পথ রোধ করলে ভুটভুটি পুলিশের পিক-আপের সাথে ধাক্কা লাগে এবং চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে ভুটভুটিটি রাস্তার ধারে উল্টে যায়। এরপর ভুটভুটিতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা দিগ্বিদিক পালাতে চেষ্ট করলে পুলিশ তাদের পিছু নেয়। এসময় ভুটভুটির আঘাতে আহত ডাকাত পলাশকে ঘটনাস্থল থেকে ১টি হাসুয়া, ১টি শাবল ও ১টি সুচালু লোহার রডসহ আটক করে এবং পায়ে চোট পেয়ে অপর ডাকাত আলম দৌড়ে গিয়ে তাজপুর গ্রামের একটি পুকুরে ঝাপ দেয়।

এসময় থানা পুলিশ তাকে পুকুর থেকে তুলতে ব্যর্থ হলে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে তাজপুর গ্রামের সাধারণ লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা পুকুরটিকে ঘিরে ফেলে ডাকাত আলমকে পুলিশের দুইজন কনস্টেবল পুকুরে নেমে আলমকে ধরে উপরে তোলেন।

সাপাহার থানায় মামলা দায়েরর প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি তারেকুর রহমান। আহত দুই ডাকাত সদস্যকে চিকিৎসার জন্য পুলিশের হেফাজতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এএইচ/এস