বুধবার , ২১ মার্চ ২০১৮ | ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে কর্ম সংস্থানের দ্বার উম্মোচিত হবে

Paris
মার্চ ২১, ২০১৮ ৫:৩১ অপরাহ্ণ

সাপাহার প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক দেশের প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থানের লক্ষে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য নওগাঁ-১আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী নওগাঁ জেলার সীমান্ত বর্তী সাপাহার উপজেলাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জোর সুপারিশ পাঠিয়েছেন।

সে লক্ষে নির্বাহী অফিসার ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সদরের খেড়ুন্দা মৌজায় সাপাহার-খঞ্জনপুর বিওপি ক্যাম্প রাস্তার উত্তর পার্শ্বে জাতীয় সড়ক, নদী, আকাশ পথ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ যাবতীয় অবকাঠামোগত সুবিধাদির প্রতি লক্ষ্য রেখে ২৫৫.১৫একর সম্পত্তির প্রস্তাব জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

৬টি ইউনিয়ন নিয়ে এই উপজেলা গঠিত, বৃটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে উপজেলাটি পোরশা থানার অর্ন্তভূক্ত ছিল। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৯সালের অক্টোবর মাসে পোরশা থানা হতে পৃথক হয়ে সাপাহার থানায় রুপান্তরিত হয়। স্বাধীনতাপরবর্তী থানা হলেও বর্তমানে এই উপজেলায় প্রায় ২লাখ মানুষের বসবাস। ভৌগলিক দিক দিয়ে সাপাহার উপজেলা একটি বরেন্দ্র এলাকা, এখনকার প্রধান অর্থকরি ফসল ধান, গম ও আম।

সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা হলেও ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা শিক্ষা, উন্নয়ন ও শিল্পের দিক দিয়ে দেশের বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। উপজেলা সদরে অনার্স মাষ্টার্স সহ ১টি সরকারী ডিগ্রী কলেজ, অনার্স সহ একটি মহিলা ডিগ্রী কলেজ, সনাম ধন্য পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আল্ হেলাল একাডেমী স্কুল ও কলেজ সহ অসংখ্য মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

সদরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশ কয়েকবার বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষার দিক দিয়ে ১ম স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে জেলার মধ্যে সাপাহার উপজেলা একটি শিক্ষা নগরী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।

রাজধানী সহ বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও যথেষ্ট উন্নত। ইতিমধ্যেই সাপাহার উপজেলার সীমান্তে খঞ্জনপুর বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় ভারতের সাথে ব্যবসা ভিত্তিক স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ স্থানটি পরিদর্শন করেছে।

এই উপজেলায় স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের ব্যপার মাত্র বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে এই উপজেলায় একটি স্থলবন্দর ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে এক দিকে যেমন সরকারের সমতা ভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণ হবে, অন্যদিকে উপজেলার হাজার হাজার খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের দ্বার উম্মোচিত হবে সে সাথে এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। উপজেলাবাসী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর