সাপাহার প্রতিনিধি :
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার অমরপুর আশ্রয়ণবাসীদের জন্য দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুনের উদ্যোগে অমরপুর আশ্রয়ণ মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ে অমরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সারাদেশে একযোগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরমপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রান্তে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সাধন চ›ন্দ্র মজুমদার এমপি।
এসময় মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী আশ্রয়ণবাসীদের পানি, বিদ্যুৎসহ সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রতিশ্রতি দেন। মন্ত্রী’র প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নে পানি, বিদ্যুৎ, পুকুর ঘাট বাঁধায় ব্যবস্থা করণসহ স্থানীয়ভাবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার এ মসজিদটিতে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে এটি চালু হয় এবং মসজিদটি নির্মাণে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। এই মসজিদের পার্শে ২৪টি বাড়ি এবং পাশের টিতে ১৭টি বাড়ি সহ মোট ৪১টি পরিবার বসবাস করে।
অমরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মাহফুজা বেগম বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা ভূমিহীন গৃহহীন ছিলাম। বর্তমানে আমাদের নিজের জমিসহ একটি বাড়ি হয়েছে।
আমরা পানির ব্যবস্থা পেয়েছি, বিদ্যুৎ পেয়েছি, আমাদের সুবিধার জন্য পুকুর ঘাট বাঁধায় করা হয়েছে। এখন একটি মসজিদ পেলাম। আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি এবং ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
অমরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আব্বাস আলী বলেন, আমরা ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার ছিলাম, এখন একটি বাড়ি হয়েছে, বাড়ির পার্শে পুকুর, সানবাধানো ঘাট,
আমাদের নামাজ পড়ার জন্য অন্য গ্রামে ১কিলোমিটার দুরে যেতে হত, এখন আর অন্য গ্রামে যেতে হবেনা। ইউএনও স্যার আমাদের গ্রামে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজদি নির্মাণ করে দিয়েছেন। মসজিদটি জন্য আমরা আশ্রয়ণবাসী খুবই খুশি। আমরা প্রাণ ভরে দোয়া করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্য, খাদ্যমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জন্য।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সাপাহার উপজেলায় মোট ৪১২টি পরিবারকে সেমিপাকা গৃহ ও জমি প্রদানের মাধ্যমে পুণর্বাসিত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সাপাহার উপজেলার উপকারভোগীদের সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
