সাধন চন্দ্র মজুমদারকে মন্ত্রী হিসেবে চান নওগাঁবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁ থেকে এবারো ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। নওগাঁ-১ আসনে (সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর) হেবী ওয়েট প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। শুরু থেকেই তার বিজয় নিয়ে দৃঢ আত্মপ্রত্যয়ী ছিলো আওয়ামী লীগ।
জেলার অন্য আসনগুলোর মধ্যে নওগাঁ-২ আসনে (ধামইরহাট-পত্নীতলা) সংসদে হুইপ আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনে সলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁ-৪ আসনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৬ আসনে আওয়ামী লীগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও নওগাঁ-৬ আসনে মো: ইসরাফিল আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মিরা জানান, নওগাঁ-১ আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হবার পর সাধন চন্দ্র মজুমদার তৃনমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্ত করার কাজে হাত দেন। নির্বাচনী এলাকায় দলের কর্মি সমর্থকদের ঐক্যবন্ধ করে সামনে এগিয়ে নেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন সূমহের প্রতিটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন নিয়মিত করার জন্য তিনি নিরলস শ্রম দিয়েছেন।
প্রতিটি কমিটি গঠনে সাধন চন্দ্র মজুমদার বিচক্ষনতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাই করে যোগ্য নেতৃত্বের মূল্যায়ণ করেছেন। পরিশ্রমি মেধাবী ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা দ্বায়িত্ব পেয়েছেন আসনটির প্রতিটি কমিটিতে। সংগঠন সুসংগঠিত করতে গিয়ে একসময় নিজেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন সাধন মজুমদার।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেরাই বসে ঠিক করেন কে হবেন তাদের মনোনীত প্রার্থী। সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা সাধন চন্দ্র মজুমদারকে মনোনয়ন চাইতে দলের হাই কমান্ডে পাঠান। ফলে আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের অপ্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন পান সাধন মজুমদার।
নির্বাচনেও সেই ঐক্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ আবারো সাধন চন্দ্র মজুমদারকে এমপি হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
সাধারণ ভোটাররা জানান, একসময় আসনটি বিএনপি-জামায়াতের শক্ত দুর্গ ছিলো। কিন্তু এলাকার তথা এলাকার মানুষের উন্নয়নে কখনই কেউ কাজ করেনি। সাধন চন্দ্র মজুমদার নির্বাচিত হবার পর থেকে শুরু হয় উন্নয়ন। ১০ বছরে তিনি এলাকার যেগাযোগ ব্যবস্থা, গ্রামীন অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, দারিদ্র বিমোচনসহ সব ধরণের উন্নয়নে অন্য যে কোন এলাকার চেয়ে এগিয়ে।
অবহেলিত বরেন্দ্র অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সংকট ছিলো পানি ও জলের সংকট। সেই সংকট নিরসনে তিনি অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন। নিজের উদ্ভাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীন জনগোষ্ঠির কাছে পানি সেবা পৌছে দিয়ে সফল হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষের সুখে-দু:খে সাধন চন্দ্র মজুমদার ১০ বছর মিলে মিশে ছিলেন। বন্যা, খড়া ও অন্যান্য প্রতিকুল সময়ে তিনি নেতাকর্মিদের নিয়ে প্রতিকুলতা মোকাবেলা করেছেন। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার পর কৃষকের উন্নয়নে তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন উপজেলায় ধান বীজতলা তৈরী করে সারাদেশে আলোচনায় আসেন। কৃষকরা তার অবদানের কথা কোনদিন ভূলবেনা। সরকারী সহযোগিতার পাশাপাশি তিনি নিজস্ব্ উদ্যোগে বাড়ি-ঘর নির্মান ও কর্মসংস্থানে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন।
সমানতালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রেখেছেন। জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর শক্ত অবস্থানে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ। যা পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ, ইউনিয় পরিষদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভের মধ্য দিয়ে প্রমান করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কাছে নওগাঁবাসী সবকটি আসন উপহাড় দিয়েছেন। তাই চাওয়া রয়েছে মন্ত্রীত্ব। তাদের দাবি, সাধন চন্দ্র মজুমদারকে যে কোন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে পেতে চায়।
এ বিষয়ে নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন- বিপুল ভোটের বিনিময়ে নওগাঁর ৬টি আসন নেত্রীকে উপহাড় দিয়েছে সাধারণ ভোটাররা। চাওয়া পাওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন- আমরা আশাবাদী। নেত্রী মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব দিয়ে নওগাঁর মানুষের চাওয়া পূরণ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনা যে দ্বায়িত্বই দিবেন সেই দ্বায়িত্বই যথাযথভাবে পালন করার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
স/শা