সাদা পোশাকে অস্ত্র হাতে পুলিশের ধাওয়া

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বেলা তখন পৌনে ১২ টা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তখন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চলছে। সেখানে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

প্রেস ক্লাবের ভেতরে প্রাঙ্গণে সাংবাদিকেরা দাঁড়িয়ে। সাংবাদিক নন এমন কিছু লোকজনকেও সেখানে দেখা যায়। বিএনপির কয়েকজন নেতাও ছিলেন ভেতরের দিকে।

এমন একটা অবস্থার মধ্যে প্রেস ক্লাবের প্রাঙ্গণে ঢোকেন কয়েকজন ব্যক্তি। সাধারণ পোশাকে থাকায় শুরুতে কেউ বুঝতে পারেননি তারা কারা। কিছুক্ষণ করে প্রাঙ্গণ থেকে তারা ধরে ফেলেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে। এ সময় হঠাৎ কে বা কারা সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের দিকে বাইক চালকদের কয়েকটি হেলমেট ছুড়ে মারে। আর এতেই বদলে যায় পরিস্থিতি।

সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা নিজেদের কাছে থাকা অস্ত্র উঁচিয়ে ধাওয়া শুরু করে। হঠাৎ এ দৃশ্যে চমকে যান প্রেস ক্লাবের প্রাঙ্গণে থাকা অনেকেই। অনেকেই বুঝতে পারছিলেন না অস্ত্রধারীরা কারা। এটা বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে পক্ষ বা বিপক্ষের মধ্যে হামলা কি না সেটা স্পষ্ট হচ্ছিল না কারও কাছেই। এর মধ্যেই অস্ত্র হাতে থাকা পুলিশ সদস্যরা নিজেদের পুলিশ বলে চিৎকার করে বলতে থাকে। তারা ধাওয়া দিয়ে প্রেস ক্লাবের ভেতর থাকা কয়েকজনকে বাইরে বের করে দেয়। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ অবশ্য শফিউল বারীকে ছাড়েননি। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।

ঢাকার মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শফিউল বারীকে প্রেসক্লাব থেকে আটক করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, শুরুতে তাঁরা রবুঝতেই পারেননি অস্ত্র হাতে এঁরা কারা। তাঁরা মনে করেছিলেন, অস্ত্রধারীরা নাশকতা করার চেষ্টা করছেন। তবে এক পর্যায়ে নিজেদের ‘আমরা পুলিশ পুলিশ’ বলে চিৎকার করে জানান দিলে তাদের ভুল ভাঙে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেওয়ায় প্রেস ক্লাবের প্রাঙ্গণে থাকা অনেকেই দৌড়ে বাইরে চলে যায়। বাইরে বিএনপির সমাবেশ থেকেও অনেকেই সরে যান।

সূত্র: প্রথম আলো