সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এস এম ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়েকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে জোর করে বিষজাতীয় কিছু একটা খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম মাইশা ওয়াজেদ প্রাপ্তি। সে এ-লেভেল পড়ে।
বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীতে একটি কোচিং সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত সোয়া আটটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে মাইশা ওয়াজেদ প্রাপ্তিকে। এরপর চিকিৎসকেরা তার পাকস্থলী পরিষ্কার করেছেন।
ওয়াজেদ আলী খোকন সাংবাদিকদের বলেন, বাসা থেকে কাছেই একটি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে যায় মাইশা। কোচিং শেষে চারতলা ওই কোচিং সেন্টারের শেষে নিচে নামার পর কয়েকজন ব্যক্তি তাকে বলে, ‘সাত খুনের মামলায় তোমার বাবা তো অনেক ভালো কাজ করেছেন। এ জন্য আমরা মিষ্টি খাওয়াতে এসেছি, এই নাও মিষ্টি খাও। ‘ তখন মাইশা তাদের বলে, চাচা আমি বাইরে কিছু খাই না।
এরপরই তিনজন ব্যক্তি জোর করে বিষজাতীয় কিছু একটা তার মুখে পুরে দেয়। এরপরই তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। জোর করে খাওয়ানোর পরই মাইশা আমাকে ফোন করে এসব কথা বলে। এর কিছুক্ষণ পরই সে অসুস্থ হয় পড়লে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, আমরা প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার থেকে জেনেছি তিনজন যুবক এসে প্রাপ্তিকে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সাত খুনের মামলা পরিচালনার কারণেই কী এ ধরনের ঘটনা কী না জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সাত খুনের মামলার কারণে মিষ্টি খাওয়ানোর নামে বিষ খাওয়ানেরা চেষ্টা করা হয়। তবে পুরো বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের আগে স্পষ্ট করেই বলা যাচ্ছে না।