সাতদিনের মধ্যে দূর্গাপুর ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহীর দূর্গাপুর থানায় ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জড়িত দূর্গাপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবার পরও রহস্যজনক কারণে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার নীবর ভূমিকা পালন করছেন।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান নির্যাতিত ব্যবসায়ী টুকুলের সহধর্মিনী স্কুল শিক্ষিকা সেলিনা আফরোজ রুনা ও বড় বোন ঝর্ণা বেগম। এ সময় তারা আগামী সাতদিনের মধ্যে ওসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিনা আফরোজ বলেন, গত ০৬ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শালিসের নাম করে দূর্গাপুর থানার ওসি রুহুল আমিন ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন টুকুলকে থানায় ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে দূর্গাপুর পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার উদ্দীন ও তার দলবল ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন টুকুলকে বেধম প্রহার করে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। এ সময় দূর্গাপুর থানার ওসি নির্বিকার থাকে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর দূর্গাপুর থানাসহ পুরো রাজশাহীতে তোলপাড় শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী পুলিশ সুপার পুঠিয়া সার্কেলকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।

সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার খালেক বিন নূর ঘটনাটি তদন্ত করে দূর্গাপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে গাফলতির প্রমাণ পান। সহকারী পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আমার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। শাস্তি মূলকব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব জেলা পুলিশ সুপারের।

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নেয়া হলে ওসি রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে হাইকোটে রিট পিটিশন দাখিল করবেন।

এ সময় ভুক্তভোগী টুকুল জানান, ওসি রুহুল আমীন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অব্যহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ওসি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সায়েস্তা করবেন বলেনও হুকমি প্রদান করছেন। এ অবস্থায় টুকুল ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

স/বি