সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সাতক্ষীরায় বিভিন্ন গ্রামে ফসলের মাঠে রাতে পেঁয়াজ চুরির হিড়িক পড়েছে। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা। এ বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে বলছে পুলিশ প্রশাসন।
শুক্রবার সংবাদ সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রামে ফসলের মাঠ থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজ। চুরি ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দিগং গ্রামে গত কিছুদিন ধরে রাতের বেলায় ক্ষেত থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজ। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে টর্চলাইট নিয়ে পাহারা দিতে দেখা গেছে এলাকার লোকজনকে।
পাহারারত এক কৃষকের ছেলে আশরাফুল বলেন, তাদের এলাকাজুড়ে বর্তমানে পেঁয়াজ চুরির হিড়িক পড়েছে। পুরো ফসলি এলাকা পাহারা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় তারা প্রতিদিন একেক পাশে পাহারা দিচ্ছেন।
তবে যেদিন যে এলাকায় পাহারা দেয়া হয়, চোরেরা সেদিন অন্য এলাকায় চুরি করছে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার এজাহার আলী বলেন, দফাদার হয়েও রেহাই পাননি তিনি। তার ক্ষেতের সব পেঁয়াজ চুরি হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এর আগে কখনই ফসলের মাঠে এভাবে পাহারা দিতে হয়নি। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে কৃষকরা অপরিপক্ব অবস্থায় পেঁয়াজ তুলে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন।
কলারোয়া উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আবুল হোসেন ভুট্টো বলেন, এবার পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার পর পেঁয়াজের বীজের দামও বেড়েছে। ফলে কৃষক প্রথমেই পড়েছে এক বড় সংকটে, তার পর আবার এই চুরি যাওয়াতে তাদের মাথায় হাত উঠেছে।
কলারোয়া উপজেলার পেঁয়াজ চাষি ছবুর দাই, নওশের আলী দাই, নজরুল দাই, শাহালম গাজী সাইদুল ইসলাম, সাত্তার গাজীসহ অনেক কৃষকই নিজেদের ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়ে যাওয়ার কথা জানান। চুরি ঠেকাতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, ক্ষেতে পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে সম্মিলিত প্রতিরোধের উদ্যোগ নেয়া হবে এবং কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।