সাইবার বুলিং এখন আন্তর্জাতিক বড় সমস্যা: সাদাত রহমান (ভিডিও)

চলতি বছর আন্তর্জাতিক শিশু পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের সাদাত রহমান বলেছেন,  সাইবার বুলিং কেবল বাংলাদেশ নয়; এটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বড় সমস্যা। এটা এখন বিশ্বের একটি বড় সমস্যা।

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে শুক্রবার এক অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সাদাতের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই।

সাইবার বুলিং নিয়ে সারা বিশ্ব এখন উদ্বিগ্ন জানিয়ে সাদাত বলেন, এ সমস্যা সমাধানে সারা বিশ্বকে আজ এগিয়ে আসতে হবে।

সাখাওয়াত হোসেন ও মলিনা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান সাদাত। বাবা পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে আগে নড়াইলে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায়।

গণমাধ্যমকে সাদাত জানায়, বাবার চাকরির সুবাদে কয়েক বছর আগে সাতক্ষীরা থেকে এসে নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমি একটু ডানপিটে এবং জেদী স্বভাবের। চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি।

‘এই সাফল্যের পেছনে আমার পরিবার, আমাদের মাশরাফি ভাই, তার সহধর্মিনী সুমি আপু, নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন স্যারের অনেক অবদান আছে। মাশরাফি ভাই সব সময় আমাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।’

টিন এইজারদের প্রতি পজিটিভ আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এই কিশোর বলেন, সারা বিশ্বে কয়জন বিল গেটস, কয়জন মাশরাফি হতে পারে? এভাবে না বলে আমাদের বলুন, তুমিও হতে পারো বিল গেটস, মাশরাফি।

‘টিনএইজরা যখন সাইবার ক্রাইমের শিকার হন; তখন তারা সব জায়গা থেকে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। অপরাধ না করেও তাদের জীবন দিতে হয়। থানায় অভিযোগ জানিয়েও সব সময় প্রতিকার পায় না।’

সাদাত জানায়, বাংলাদেশের একটি ছোট জেলা নড়াইলে বসে আইসিটি বেইজড কাজ করে বিশ্ব জয় করা থেকেই বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, সত্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের রোল মডেল।

পুরস্কারের সঙ্গে পাওয়া এক লাখ ইউরো দিয়ে শিশুদের সাইবার ক্রাইম থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করবেন বলে জানান এই কিশোর।

যশোরের আইটি পার্কে একটি প্রধান অফিস স্থাপন করে সঙ্গে ঢাকা ও নড়াইলের অফিসে কার্যক্রম আরও জোরদার করবেন। বিশেষ করে করোনাভাইরাসকালে যেহেতু শিশুরা ইন্টারনেটে বেশি সময় কাটায়, তাই তাদের নিরাপদ করার কাজ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

 

 

 

সূত্রঃ যুগান্তর