বৃহস্পতিবার , ১৩ জুন ২০২৪ | ১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সাংবাদিক কাজী শাহেদের নামে প্রতারণার অভিযোগে মামলা

Paris
জুন ১৩, ২০২৪ ১:৫৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির রাজশাহীর প্রতিনিধি কাজী শাহেদ উল হকের (কাজী শাহেদ) বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন আমলি আদালতে মামলাটি করেন। বিচারক ফয়সল তারেক মামলাটি আমলে নিয়ে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী রফিকুল ইসলামসহ চার জন সাংবাদিক মিলে রাজশাহী হাউজিং এ্যাস্টেটের আওতায় একটি প্লট বরাদ্দের জন্য ২০১৯ সালের ১২ জুলাই তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হন। সে অনুযায়ী কাজী শাহেদের নামে বরাদ্দকৃত ৫ কাঠা আয়তনের প্লটটির সমস্ত খরচ চারজনে বহন করেন। চুক্তি অনুযায়ী চারজনে মিলে সমস্ত টাকা পরিশোধ করেন। প্রথম কিস্তি প্ররিশোধের পর শাহেদ নিজ হাতে কে কত টাকা দিয়েছেন সেটি লিখেও দেন। এরপর বাকি তিন কিস্তি চারজনে মিলে পরিশোধ করার পরে কাজী শাহেদের নামে প্লটটি ২০২১ সালে রেজিস্ট্রি করে দেয় হাউজিং কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তিতে অন্য তিনজনের নামে সোয়া কাঠা করে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা।সেই অনুযায়ী হাউজিং কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অন্য তিনজনের নামে সোয়া কাঠা করে নামজারী করার জন্য অনুমতিপত্রও নেওয়া হয়।

এদিকে, নামজারি অনুমতিপত্র থাকলেও কাজী শাহেদ বাদীসহ অপর তিনজনকে সোয়া কাঠা করে জমি রেজিস্ট্রি দিতে টালবাহানা শুরু করেন। এমনকি শাহেদের অংশটিও বিক্রি করার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাদীর নিকট থেকে দু্ই লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে নেন। তবে দুই অংশের কোনটিও রেজিস্ট্রির জন্য তিনি আর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এতে বাধ্য হয়ে গত ১৯ মে বাদী রফিকুল ইসলাম আইজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশের জবাবে কাজী শাহেদ বাদী রফিকুল ইসলামের নিকট থেকে গত জানুয়ারির আগে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেন। এতে করে বাদী রফিকুল ইসলামের প্রাপ্য অনুযায়ী সোয়া কাঠা জমি নিয়ে তিনি এখন চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। এছাড়াও কাজী শাহেদ তার যে অংশ বিক্রির জন্য দুই লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন সেটিও আত্মসাতের চেষ্টা করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজশাহীর মূল ধারার সমস্ত সাংবাদিক জানেন, মামলার বাদী রফিকুল ইসলামসহ চারজনের মিলেই ওই জমির টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু শাহেদ পরবর্তিতে আর জমিটি অন্য তিনজনকে রেজিস্ট্রি করে দেননি। এমনকি সাংবাদিক রফিকুলের অংশটি আত্মসাতের চেষ্টায় এখন লিপ্ত শাহেদ। এ নিয়ে রাজশাহীর সাংবাদিক মহলেও চরম ক্ষোভ রয়েছে।

মামলাটি বাদী পক্ষে পরিচালনা করেন সাইফুর রহমান রানা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর