সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোধে বেশ তৎপর দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়্যার, আইওয়া, ইলিনয়, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, উইসকনসিন ও ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল।
এর পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাদা, ওরেগন, পেনসিলভানিয়া, টেনেসি, টেক্সাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ন্যাশনাল গার্ডের সেনা যেকোনো মুহূর্তে মোতায়েনের জন্য ‘স্ট্যান্ড বাই’ অবস্থায় প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। রয়টার্স।
সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবিলায় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো। সেখানে ড্রোন ও স্নাইপার নিয়ে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। মারিকোপা কাউন্টির পুলিশ কর্মকর্তা রাস স্কিনার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্রের ওপর নজর রাখবেন। এ কাজে তারা ড্রোন ব্যবহার করবেন। সহিংসতা দেখা দিলে তা মোকাবিলার জন্য স্নাইপার প্রস্তুত থাকবেন।
এ ছাড়া মোতায়েনের জন্য বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যও প্রস্তুত থাকবেন। এর আগে নির্বাচনকর্মীদের ওপর বোমা হামলার হুমকি দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে একজন নির্বাচনকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়ছে।
মার্কিন প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, গ্রেফতার ওই ব্যক্তির নাম নিকোলাস উইমবিশ। তিনি গত ১৬ অক্টোবর জর্জিয়ার গ্রে শহরের জোন্স কাউন্টি ইলেকশন অফিসে একজন নির্বাচনকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
নির্বাচনের দিন এবং এর পরের দিনগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি থাকবে ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেটগুলোর দিকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্য হলো নেভাদা।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর সেখানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছিলেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তাদের কাউকে কাউকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে। সেখানে বেশ কিছু ভোট গণনা সেন্টারের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর