সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
মহাসড়কে সর্বোচ্চ কত গতিতে চলতে পারে একটি যানবাহন; অনেক চালক সেটাই জানেন না। উল্টো কে কত দ্রুত গাড়ি চালাতে পারে এর প্রতিযোগিতা চলে। আর এই গতিই সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে নানা গবেষণায়।
সম্প্রতি স্পিডগানের মাধ্যমে গতি পরিমাপ করে জরিমানা করা শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তবে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আরো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ গবেষকদের।
ইউরোপের দেশগুলোয় সড়কে কোনো যানবাহন কত গতিতে ছুটে চলছে তা পরিমাপ করা হয় বিশেষ ক্যামেরায়। কেউ নির্ধারিত নিয়মের ব্যত্যয় করলেই গুণতে হয় বড় অঙ্কের জরিমানা।
কিন্তু বাংলাদেশে তেমন প্রযুক্তি নেই, যে আইন আছে তারও নেই যথাযথ প্রয়োগ। অনেক যানবাহনের চালক জানেই না, সর্বোচ্চ কত গতিতে গাড়ি চালাতে পারবে তারা!
এ বিষয়ে মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে সতর্কতামূলক চিহ্নও দেওয়া থাকে। কিন্তু তীব্র গতিতে ছুটে চলার সময় সেদিকে খেয়াল করার সময় কোথায় চালকদের।
ঈদের আগে পরে সড়ক দুর্ঘটনায় এত এত মানুষের মৃত্যুর পর মহাসড়কে গতি নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ জন্য ব্যবহার শুরু করা হয় উন্নত প্রযুক্তি, স্পিডগান। যার মাধ্যমে অন্তত ২০০ মিটার আগে থেকেই কোনো যানবাহনের গতি পরিমাপ করা যায়। এর মাধ্যমে আইন অনুযায়ী জরিমানাও করছে তারা। এর প্রয়োগ বাড়লে চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে বলেও মনে করে তারা।
তবে বছর বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা মাথায় রেখে আরো আধুনিক প্রযুক্তি আনার পরামর্শ সংশ্লিষ্ট গবেষকদের। এজন্য খুব একটা খরচ হবে না বলেও মনে করছেন তাঁরা।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রোকন উদ্দিনের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ তৃতীয় পর্ব। ক্যামেরায় ছিলেন অজিত আইচ তাপস। সঙ্গে ছিলেন কুমিল্লার চান্দিনা প্রতিনিধি কাজী রাশেদ।
সূত্র: এনটিভি