সর্দির সঙ্গে বমিবমি ভাব? শরীরে থাবা বসায়নি তো মারণ করোনা

অব্যাহত করোনা মহামারী। অদৃশ্য এই ব্যাধির দাপটে কার্যত বেসামাল অবস্থা আমজনতার। দফায়,দফায় লকডাউন জারি রেখেও মিলছে না রেহাই। গোটা বিশ্বজুড়ে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে আক্রান্ত এবং মৃতের গ্রাফচিত্র। মানব জাতির এই সংকটময় পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে আশঙ্কার কথা শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রক বিষয়ক সংস্থা ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভিশন'(সিডিসি)।

করোনার উপসর্গ হিসেবে সিডিসি’র তালিকাভুক্ত নতুন তিনটি উপসর্গ হল, ১.সর্দি ২. বমিবমি ভাব এবং ৩.ডায়েরিয়া। আর এই নিয়ে করোনার সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে বারোটি বিষয়কে সিডিসি’র তালিকায় যুক্ত করা হল।

তবে এখানেই শেষ নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরবর্তীতে তালিকায় আরও নতুন নতুন করোনা সংক্রমণের উপসর্গকে যোগ করা হবে। তবে এতদিন পর্যন্ত সিডিসি’র তালিকায় করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে যুক্ত ছিল, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, ক্লান্তি ভাব, মাথা ও গা-হাত,পা ব্যথা।

এছাড়াও প্রতিনিয়ত যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে তাতে জরুরি উপসর্গ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, ঘ্রাণ শক্তি কমে আসা,ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া বা ঠোঁটের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়াকে করোনা রোগের প্রাথমিক লক্ষন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

তবে যেভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে, তাতে সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে সিডিসি’র তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন বিষয়। সিডিসি’র দেওয়া তথ্যানুযায়ী,যদি কোনও ব্যক্তির শরীরে ২থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দেরী না করে তাঁর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তবে গত এপ্রিল মাস পর‍্যন্ত করোনার উপসর্গ হিসেবে সিডিসি’র তালিকায় যুক্ত ছিল ছয়টি বিষয়। পরে নতুন করে আরও তিনটি উপসর্গের নাম সংযোজিত হয়। এখানেই শেষ নয়, এই তালিকা আরও ক্রমবর্ধমান হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গ হিসেবে যারা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে ভুগছেন তাঁদের রোগ সম্পর্কে সর্তক বার্তা দিয়েছে সিডিসি।

করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা,ব্রাজিল,ইতালি এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫লক্ষ ৮ হাজার ৯৬০। মৃতু হয়েছে ১৫হাজার ৬৮৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৮১জন। শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৫২হাজার ৭৭০জন। মৃত্যু হয়েছে ৭হাজার ১১০জনের। এরপর রয়েছে দিল্লি,তামিলনাড়ু,গুজরাট এবং উওরপ্রদেশ। সূত্র: কলকাতা 24