আন্দোলন হলে এই সরকারের কেউ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না: ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘দেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। মানুষের সকল প্রকার স্বাধীনতা খর্ব করে ফেলেছে। বাক স্বাধীনতা ও কলম সৈনিকদের লেখনির ভাষা অবরুদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছে এই সরকার। দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও হামলা মামলায় মানুষকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এসব এর কারনে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। সরকার পতনের আন্দোলন খুব সন্নিকনে। আন্দোলন শুরু হলে এই সরকারের কেউ পালানোর পথ খুঁজে পাবেনা। এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আয়োজনে ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক রাসিক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছাত্রদের অধিকার সংরক্ষণ এবং দেশের অন্যায় অবিচার রুখে দেয়ার জন্য ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন তাঁর সুযোগ্য উত্তস্বরী বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই দলটিকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রদল এখন আরো বেশী সুশৃখল ও সুসংগটিত। আগামীতে দেশের গণতন্ত্র রক্ষা, অনির্বাচিত এই সরকারের কবল থেকে জনগণকে রক্ষা এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে ছাত্রদলকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করার আহবান জানান মিনু। সেইসাথে সরকার পতনের আন্দোলনে সকলকে জীবনবাজি রেখে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বুলবুল ও মিলন বলেন, এই সরকার প্রধানের নিজস্ব ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ছাত্র রাজনীতিকে কুলশিত করে ফেলেছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ খুন, গুম, নির্যাতন ও র‌্যাগিং এর নামে সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে। বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। তারা আরো বলেন, ছাত্রদল একটি সুশৃংখল ও সুসংগঠিত একটি দল। ছাত্রদলই পারে দেশ থেকে সকল প্রকার অত্যাচার, অনাচার দূর করতে। আগামীতে সকল প্রকার আন্দোলনে ছাত্রদলের অগ্রণী পালনের আহবান জানান তাঁরা।

নগরীর ভূবনমোহন পার্কে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, জেলা বিএনপি’র সদস্য রায়হানুল ইসলাম রায়হান, জেলা বিএনপি’র সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য জাহান পান্না ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শাফিকুল ইসলাম সাফিক, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, জরিনা খাতুন, রোজি ও গুলশান আরা মমতা।

এছাড়াও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদ রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোর্তুজা ফামিন, যুগ্ম আহবায়ক আকবর আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন থানা ইউনিট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতৃকর্মী উপস্থিত ছিলেন।