কোন দল প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর নেমে আসছে নির্যাতন: মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, পৃথিবীর সব থেকে বড় স্বৈরাচার সরকার হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকার দেশের আইনশৃংখলা বাহিনীকে জনগণের নিকট শত্রুতে পরিণত এবং অসম্মানিত করে তুলেছে। একদিকে আইন শৃংখলা বাহিনীকে যেমন নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে অন্যদিকে দেশে সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি করে দিয়ে দেশের মানুষকে মহা বিপদে ফেলে দিয়েয়ে। এই সরকার কোনটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। কোনদল প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর নেমে আসছে নির্যাতন।

আজ শনিবার রাজশাহীতে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, শুধু হত্যা, খুন, গুম, ধর্ষন করে ক্ষ্যান্ত হচ্ছেনা এই সরকার। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট ও দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া কোন প্রকার দুর্নীতি করা ছাড়াই শুধুমাত্র প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে কারাভোগ করছেন। তাঁর বয়স পঁচাত্তর বছর হলেও এবং রোগে আক্রান্ত হলেও এই সরকার জামিন দিচ্ছেনা। ইচ্ছাকৃতভাবে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখেছে। সেখান থেকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু অবস্থা আর চলতে দেওয়া হবেনা। দ্রুতই কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানান তিনি। সেইসাথে কারো ফাঁদে পা দেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে  সমাবেশের পুর্বে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়, পরে তারা সমাবেশ করেন।

সমাবেশে মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালমা আজাদ সুইটের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্ষন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রি কমিটির বন ও পরিবেশ বিসয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিয়ষক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত।

সভা পরিচালনা করেন, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন।

এছাড়াও মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, জেলা বিএনপি’র সদস্য আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল, সুলতান আহম্মেদ রাসু, শহীদুজ্জামান, আলাউদ্দিন, সালেহ আহম্মেদ, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি আবু হেনা মোহাম্মদ শাহিন রান্টু, মামুন, ফাই ও ফায়ারিং, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাশেম আলী শেখ, হাফিজুর রহমান আপেল, আনারুল, জনি, মীর্জা মুক্তা, শ্যামল, জামিল, নাজির, সুমন ও বিপ্লব ধর্ম বিসয়ক সহ-সম্পাদক মেরাজ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দু মালেক, আব্দুর রহমান,ইয়াকুব আলী, জুয়েল খান ও মশিউর রহমান। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তারেক, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিবউল ইসলাম কুসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরফিন কনকসহ যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স/অ