সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চারঘাটে অবৈধ পুকুর খননের মহোৎসব

চারঘাট প্রতিনিধি:
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীর চারঘাটে চলছে পুকুর খনন। পুকুর খননকারী ব্যাক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা নির্বিগ্নেই চলছে পুকুর খননের মহোৎসব।

অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিন রাত সমান তালে চলছে পুকুর খননের কাজ। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবী পুকুর খননের খবর কেউই জানায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন করছে এক শ্রেণীর অস্বাধু ব্যাক্তিরা। অতি মুনাফা লোভী ব্যাক্তিদের এমন কর্মকান্ডে পরিবেশের উপর চরম ঝুকি রয়েছে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।

উপজেলার নিমপাড়া, ভায়ালক্ষিপুর,শলুয়া ও ইউসুফপুর ইউনিয়নে বেশ কিছু জমি লিজ নিয়ে একটি সংঘবদ্ধদল গত কয়েক মাস ধরেই ধানী জমিতে পুকুর খনন করলেও রহস্য জনক কারনে বন্ধ হয়নি পুকুর খনন। এছাড়াও গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া মাঠে সমতল ধানী জমি কেটে পুকুর খনন করছেন ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তি অশ্বিণী কুমারের ছেলে অসিত কুমার দাশ ও অসিম কুমার দাশ। তারা দুই সহোদ্বর প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে প্রায় দুই বিঘা জমিতে খনন করছেন বিশাল এক পুকুর। এতে করে অসিত ও অসিম লাভবান হলেও ক্ষতির আশংকা আশে পাশের জমির মালিকদের।

ইউসুফপুর ইউনিয়ন আ”লীগের সভাপতি ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন বলেন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন করতে হলে সরকারী অনুমতি প্রয়োজন। তাছাড়া সমতল ধানী জমি এভাবে কেটে পুকুর খনন সম্পুর্ন রুপে নিষিদ্ধ হলেও অসিত ও অসিম সমতল জমিতে পুকুর খনন করছেন। এতে করে তারা দুই ভাই লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে পরিবেশ ও আশের পাশের জমির মালিকদের।

ওই এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান,তারা কিছু দিন থেকে দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে সমতল জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করে সেখানে বানাচ্ছেন বিশাল একটি দিঘী। এতে করে আশে পাশের জমির ক্ষতি ছাড়াও ধান উৎপাদনে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এই এলাকার মানুষ।

অভিযুক্ত অসিত ও অসিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা পুকুর খনন করছি না। আমরা শুধূ জনৈক ব্যাক্তিকে লিজ দিয়েছি পুকুর খনন করতে। এতে পরিবেশের বা আশে পাশের জমির ক্ষতি হবে বলে আমরা মনে করি না।

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, জমির শ্রেণী পরির্বতন করে পুকবুর খনন সম্পুর্ন রুপে নিষিদ্ধ। তবে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ পুকুর খনন কাজ করলে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সেখানে ভুমি অফিসের লোক পাঠানো হয়েছিল। তার পরেও পুকুর খনন অব্যাহত রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/অ