সরকারি মূল্যে পর্যাপ্ত বীজআলু ও ভেজালমুক্ত সার বিতরণের দাবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

সরকারি মূল্যে কৃষকদের মাঝে পর্যাপ্ত বীজআলু ও ভেজালমুক্ত সার বিতরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘কৃষকবন্ধন’ ও সমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নিমাই গাঙ্গুলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন ও সুকান্ত শফি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা রোমান হায়দায়, লাকি আক্তার, মানবেন্দ্র দেব, শরিফুজ্জামান শরিফ ও মোবারক হোসেন ঝন্টু, মানিকগঞ্জ জেলার মো. সেতোয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ঢাকা জেলার জামাল হোসেন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ বছর আলু চাষের মৌসুমে কৃষকরা জমি তৈরি করে বীজআলুর সংকটে আলু চাষে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগেই আলু বেশি দামে বিক্রি করার ফলে চাষের জন্য বীজআলুর সংকট দেখা দিয়েছে। তারা আরো বলেন, বিএডিসি’র আলুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম পরিমাণ বীজআলু মজুদ রাখা হয়। ফলে বীজআলুর অভাবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে অসৎ ডিলার ও বীজ আলু বিক্রেতারা সরকার জাত ভেদে ২৭ টাকা থেকে ২৯ টাকা কেজির বীজআলু ৫০ টাকা বিক্রি করছে। বীজআলু সংকটের কারণে কৃষকরা আলু চাষে নিরুৎসাহিত হওয়ায় আগামীতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়িয়ে দেওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আলুসহ ধান ও সবজি চাষের জন্য কৃষককে প্রচুর সার কিনতে হয়। সারের পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ডিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে সার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নজরদারি না থাকায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে ডিলাররা বেশি দামে সার বিক্রি করছে। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও ফসল বিক্রিতে দাম না পেয়ে প্রতি বছর লোকসান গুণতে হচ্ছে।

সমাবেশ শেষে বিএডিসিকে সক্রিয় ও সক্ষম করে গড়ে তুলে কৃষকদের সার-বীজ কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবিতে কৃষিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ