সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের জন্য প্রচারে নামার আশা পূরণ হল না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার।
তবে সময় পেরিয়ে যাওয়ায় খালেদার প্রচারণায় নামার আবেদন নাকচ করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার।
এই ভোটে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী এবং দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সাংসদ, মন্ত্রী হওয়ায় সরকারি সুবিধাভোগী হিসেবে প্রচারে নামার সুযোগ ছিল না। তবে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের ক্ষেত্রে ছিল না কোনো বাধা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষে জন্য ভোট চাইতে দেখা গেছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থীর মিডিয়া সেলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার ভোট সামনে রেখে সোমবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা আসে ইসির নিয়ম অনুযায়ী।
ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পাঠানো এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি ‘নীরব ভোট বিপ্লব’ ঘটানোর আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।
নারায়ণগঞ্জের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
সশরীরে ভোটের প্রচারে না যাওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তার পিছনের কারণও ব্যাখ্যা করেন খালেদা: “মামলা মোকদ্দমার হাজিরা, শারীরিক অসুস্থতা এবং অন্যান্য ব্যস্ততা ও সমস্যার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমার পক্ষে সশরীরে এই নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জবাসীর মাঝে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি।”
বহিরাগতদের প্রচারণায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা রাতেই কার্যকর হলেও মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়ার প্রচারে নামার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, “সোমবার বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রচারণায় নামার বিষয়ে আবেদন করেন। ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল-বিকাল গণসংযোগের বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়।”
তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র এবং নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ১৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ রয়েছে। ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মঙ্গলবার প্রার্থীদের প্রচারণা নিষিদ্ধ হবে।
“সেক্ষেত্রে ৫ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রচারে অংশ নিতে বাধা ছিল না। কিন্তু ২০ ডিসেম্বর শুধু প্রার্থীদের প্রচারের সুযোগ রয়েছে। বহিরাগতদের প্রচারে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।”
বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াতের প্রতিনিধিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“আইন-বিধি মেনেই প্রার্থীকে তা জানানো হয়েছে। সবাইকে তা মানতেও হবে।”
সূত্র: বিডিনিউজ