সময়ের নয় ঘন্টা পরে প্রসুতির সিজারিয়ান : নবজাতকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রসুতি রোগির অস্ত্রপচার। সঠিক সময় দিয়ে ৯ ঘণ্টা পর অস্ত্রপচার করা হয়। সময় মতো সিজারিয়ান না করায় গর্ভে সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন স্বজনরা।  চিকিৎসক আবেদা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে তার সহকারি সাবিনা ইয়াসমিন সিল্কসিটিনিউজকে বলেন,  চিকিৎসক আবেদা বেগম শাশুড়ির মৃত্যুর খবরে ভোর রাতেই কুষ্টিয়া চলে গেছেন। সকাল ৮টার দিকে ফোন করে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি দুই দিন রোগি দেখবেন না বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে বলে জানানো হয়।

এই ঘটনাটি ঘটেছে, রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়ার ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে এমন অভিযোগ করছেন প্রসুতির স্বজনরা। এ ঘটনার জেরে আজ সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষ ঘেরাও করে স্বজনরা। এসময় ওই  প্রসুতির স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বের করে দেওয়া হয় রোগির স্বজনদের। ওই প্রসুতির নাম জুলিয়া বেগম। তিনি নগরীর আসাম কলোনী এলাকার নাজমুল হাসান টগরের স্ত্রী। জুলিয়া হাসপাতালের ৪০৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জানা গেছে, সন্তান প্রসবের জন্য গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হাসপাতালটিতে ভর্তি হন জুলিয়া। সেই দিন ডাক্তার তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে নবজাতক ভালো আছে। রোববার সিজারিয়ান অস্ত্রপচার করা হবে। রোববার সকালে ডাক্তার তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে নবজাতক  মারা গেছে। আর বিকেলে সিজারিয়ান অস্ত্রপচার করে মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি।

জুলিয়ার স্বামী টগর সিল্কসিটিনিউজকে জানান, ভর্তির পর চিকিৎসক আবেদা বেগম ওই রাতেই তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান মা ও সন্তান ভাল আছে। এরপর ভোর ৬টার দিকে তিনি অস্ত্রপচারের সময় দিয়ে চিকিৎসকের আর পাত্তা নেই। তারা না পাড়লে বলে দেবে। হাসপাতালে তো অনেক ডাক্তার আছে।  চিকিৎসকের অবহেলায় গর্ভে সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগির স্বজনরা নিজেরা বোসেছেন। এ নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দিলেও তা নেওয়া হবে।

 

স/আ