সমুদ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোস্টগার্ডের পাশে থাকবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কোস্টগার্ডের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল সমুদ্র এলাকা। আমাদের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। ওই এলাকার নিরাপত্তায় অবদান রাখছে কোস্টগার্ড। তারা সমুদ্রকে নিরাপদ রাখবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। সে জন্য আমরা তাদের সহায়তা করবো।’

বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ১৪তম এশিয়ান হেড অব কোস্ট গার্ড এজেন্সির প্রধানদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। আমরা তখন বিরোধী দলে ছিলাম। সমুদ্রের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা সংসদে কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিল উত্থাপন করি এবং সে সময় বিলটি পাশ হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। এ কারণে সমুদ্রে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও বেশি হয়ে থাকে। এর সঙ্গে শুধু একটা দেশ নয় পাশের দেশও জড়িত থাকে। তাই একটি দেশের পক্ষে এই অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। এটি দমনে পাশের দেশের সহায়তা লাগবে। আমরা দলগতভাবে সমুদ্রে নিরাপত্তা উপহার দিতে পারি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমুদ্র সম্পদ নিয়ে ব্লু ইকোনোমি নীতি গ্রহণ করেছি; যা বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে। তিনি বলেন, ‘বিগত এক দশকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক এগিয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে দেশকে উন্নত করার জন্য অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘ বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। আমরা আমাদের নদী সম্পাদকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে ডেল্টা-২১০০ নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে কাজ করছি। যা উন্নত দেশ হতে আমাদের সহায়তা করবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে বঙ্গপোসাগরে সমুদ্রের অধিকার লাভ করি। সমুদ্রের মহীসোপান এলাকায় প্রচুর সম্পদ রয়েছে। আমরা এ সম্পদকে কাজে লাগাতে চাই।’