সব দল অংশ না নিলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে: ওআরএফ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। জনগণ সেখানে কী ভাবছে সেটা দেখার বিষয়। নিজেদের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। তবে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না সেটা তাদের ব্যাপার। যদি কেউ অংশ না নেয় তাহলে বলা যায় না, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

সোমবার (৮ অক্টোবর) ভারতের অন্যতম বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ভারত সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মতবিনিময়ে একথা উঠে আসে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কথা বলেন স্টাডিজ অ্যান্ড হেড, স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রফেসর হার্শ ভি প্যান্ত এবং বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট সিনিয়র ফেলো জয়িতা ব্যানার্জি।

শুরুতেই জয়িতা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বতন্ত্র। ভাষা, স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেন আমরা রক্তের ভাই। এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতিবেশীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত সেটার জন্য ভারত-বাংলাদেশের দিকে তাকাতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনে আমাদের দুদেশেরেই নির্বাচন। ভারত বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ। আমি মনে করি প্রত্যেক জিনিসের একটি বিবর্তন দরকার, আমেরিকার গণতন্ত্রে সেটা আমরা দেখেছি, বাংলাদেশেও তাই। জনগণ এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রত্যেক দেশের নিজস্ব ব্যাপার। সুতরাং বাংলাদেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কি করবে, কি করা উচিত।

‘আমরা জানি বাংলাদেশে বহুদলীয় নির্বাচন হয়, সেখানে একটি দল অংশ না নেওয়া একটি বড় বিষয়। সবার উচিত নির্বাচনে অংশ নেওয়া।’

প্রফেসর হার্শ বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় রাজনৈতিক পদ্ধতি চলমান। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের জন্য গণতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত মানুষকে গণতন্ত্রের পথে আনা। গণতন্ত্রের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সব দলকে অংশ নিতে হবে। কোনো দল অংশ না নেওয়া সঠিক গণতন্ত্র নয়। আমি মনে করি বাংলাদেশে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছে না তাদের রাজনৈতিক গণতন্ত্রের জন্য এগিয়ে আসা উচিত।

শুধু বাংলাদেশ-ভারত নয়, রাজনৈতিক গণতন্ত্র দক্ষিণ দেশগুলোর জন্য একটি সমস্যা বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।

২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের গবেষক, বিশ্লেষকরা বলেন, বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে কোনটি সঠিক কোনটি ভুল। খারাপটাও তাদের বাছাই, ভালোটাও তাদের। বিএনপির ভোটাররা যদি ভোট দিতে না যায় আর আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোট দেয় তাহলে তারা জিতবে সেটাই স্বাভাবিক। এটা বিএনপির সমস্যা, তারা আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে দিয়েছে। আমাদের গবেষণা বলে, ভারত কখনো চায় বলে না আমরা ওমুক দলকে সাপোর্ট করছি, করবো। সেই একাত্তর সাল থেকে বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী, আমরা সব সময় খেয়াল রাখি সেখানে কি হচ্ছে।

আসামের এনআরসি বিষয়ে তারা বলেন, এটা অনেক আগের বিষয়। এটা এখনও কোর্টে রয়েছে। সরকারও ঠিক জানে কোর্ট কি সিদ্ধান্ত দেবে। এই ইস্যুতে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে এটা কোনো রাজনৈতিক দলের, সরকারের নয়। বিষয়টি আরও বোঝা দরকার।