সবজির দাম স্থিতিশীল, বেড়েছে মাছের দাম

তারেক মাহমুদ:

এ সপ্তাহেও রাজশাহীতে আরেক দফা মাছের দাম বেড়েছে।বিক্রেতারা বলছেন, মাছের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। অপরদিকে রাজশাহীতে সবজি বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শনিবার রাজশাহীর বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

 

রাজশাহীর মাষ্টারপাড়া কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা ইয়াসিন আলী সিল্কসিটি নিউজকে জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে কিছু সবজির দাম একটু কমেছে , তবে বাজারে প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এ ছাড়া বেগুন ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, আলু ১৮ টাকা, শশা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, । ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৩০ টাকা পটল ২৫ টাকা এবং বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের নতুন সবজি হিসাবে মুলা ও টমেটো দাম বেড়েছে দ্বিগুন প্রতি কেজি মূলা ৫০টাকা এবং টমেটো ৮০ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা,কচু লতি ২০ টাকা, কাকরোল ২৫ টাকা, ওল প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কুরি কচু প্রতিকেজি ১৫ টাকা, পেঁপেঁ প্রতি কেজি ১৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ১৫ টাকা, ডুমুর ৩৫ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ৮ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজারের মুদি ব্যবসায়ীর্ র্নিমল কুমার পাল জানিয়েছেন, বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২০ টাকা,রসুন ১৮০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা এবং শুকনা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া প্রতি কেজি মসুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, কলাই ডাল ১০০থেকে ১৩০ টাকা, ছোলা ডাল ১১০ টাকা, খেসারি ডাল ৭২ টাকা, মটর ডাল ১৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে প্রতি কেজি চিনি ৬৮ টাকা, চাল ৪০ থেকে ৩৮ টাকা, ধনে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, খোলা তেল ৮০ টাকা লিটার ,হলুদের গুড়া ১৬০ টাকা, এবং জিরা ৩৮০ থেকে ৪০০টাকা গরম মশলা প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দরে শাক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতি কেজি লাল শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা ,ডাটা শাক ২০ টাকা, কচু শাক ২০ টাকা, সবুজ শাক ১৫ টাকা এবং পুই শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

নগরীর সাহেব বাজারে মাছ কিনতে আসা ক্রেতা মুক্তাদির বিল্লাহ্ বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই দেখছি মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে কিনতে এসে দেখলাম সবাই যেন মাছ কিনার প্রতিযোগিতায় নেমেছে ।

 

মাছ বিক্রতা আবু সানি বলেন,নদীর পানি বেশি হওয়ায় মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নদীর মাছ অনেক কম । এখন পুকুর জলাশয়েও পানি বেশি। ফলে মাছ আমদানি একটু কম হচ্ছে। আর আমদানি কম থাকায় মাছের দামও একটু বেশি। পানি কমলে আর আমদানি বেশি হলে মাছের দাম আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। বাজারে বর্তমানে মাছের দাম একটু বেশি তবে আমদানি বেশি হলে মাছের দাম কমবে।

 

বর্তমানে কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, রুই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৫০ টাকা,পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বাটা ১৭০ টাকা, টেংরা ৭৫০ টাকা, কৈ মাছ ৫০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ টাকা, কালিবাউস ২৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৫০ টাকা, চিতল ৬০০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নদীর চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়,। শিং মাছ ৬০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৪৮০ টাকা,বেলে মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচা মাছ ৭০০ টাকা,পাবদা ৬০০ টাকা, এবং মোয়া ৪০০ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট পুটি মাছ ২২০ টাকা গুচি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এ সপ্তাহে বরিশালের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১১০০ থেকে ৮০০ টাকা । স্বাভাবিক আছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় মূল্যের তেমন কোন বিস্তার দেখা যায়নি এ সপ্তাহে।

 

মরগি ব্যবসায়ী সবুর আলী জানান, গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহেও মুরগির দাম একই আছে। বর্তমানে সাদা কক বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, ব্রয়লার ১৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৩০০, সোনালি মুরগি ১৯০ টাকা , লেয়ার মুরগি ১৮০ এবং হাঁস ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বর্তমানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে।

স/মি