সবচেয়ে উত্তম চিত হয়ে ঘুমানো, জানুন সুফল

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বেশির ভাগ লোক পাশ ফিরে (ভ্রূণের মতো ভঙ্গিতে) ঘুমাতে পছন্দ করে। অনেকে হাত-পা ছড়িয়েও ঘুমায়। কেউ কেউ উপুড় হয়ে না শুলে ঘুমাতেই পারে না। তবে সবচেয়ে উত্তম চিত হয়ে ঘুমানো।

মেরুদণ্ডের জন্য ভালো

পাশ ফিরে শুলে মাথা একদিকে ঝুঁকে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পাশ বদল না হলে এর ফলে ঘাড়ে ব্যথা তৈরি হতে পারে। এই ভঙ্গিতে মেরুদণ্ডও কিছুটা সংকুচিত হয়। আরামদায়ক বালিশ ব্যবহার করে চিত হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড তার স্বাভাবিক আকৃতিতে থাকে এবং পরিপূর্ণ বিশ্রাম পায়।

স্বাভাবিক হবে শ্বাস-প্রশ্বাস

এ অবস্থায় ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ডায়াফ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা সংকুচিত হলে শ্বাস-প্রশ্বাস অগভীর হয়ে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিদ্রিত ও জাগ্রত উভয় অবস্থায়ই বিশেষভাবে উপকারী। এর ফলে স্ট্রেস কমে, কাজে মনোযোগ বাড়ে, মন-মেজাজ ভালো থাকে।

কমবে টেনশনজনিত মাথা ব্যথা

ঘাড় ও মেরুদণ্ডের মতো মাথার ওপর থেকেও চাপ কমে চিত হয়ে ঘুমালে। সার্ভিকোজেনিক হেডেক- অর্থাৎ যেসব মাথা ব্যথার সূত্রপাত ঘাড়সংলগ্ন মেরুদণ্ড থেকে, যেগুলোকে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা বলে ভুল করা হয়, সেগুলোরও অন্যতম কারণ পাশ বা উপুড় হয়ে ঘুমানো। এর ফলে ঘাড় বা মুখের এক পাশে ব্যথা করে, ঘাড় শক্ত হয়, নাক ঝাড়া বা কাশি দিলে মেরুদণ্ডে ব্যথা করে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়, অস্বস্তি বোধ হয় পেটে। চিত হয়ে ঘুমালে এসব সমস্যা এড়ানো যায়।

সাইনাসের উপশম হবে

মাথা উঁচু করে ঘুমানোর ফলে ন্যাজাল প্যাসেজও পরিষ্কার থাকে, বাতাস চলাচল হয় বাধাহীন। মাথা নিচু হয়ে থাকলে মিউকাস সাইনাসে জমার প্রবণতা বাড়ে। সূত্র: কালের কণ্ঠ