বৃহস্পতিবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে বাংলাদেশ’

Paris
সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। ’ গতকাল বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেইয়াকা সনকো এবং জাতিসংঘের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ভ্লাদিমির ভরনকভের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামাস খান কামাল।

তৃতীয় জাতিসংঘ পুলিশ সামিটের সাইডলাইনে আয়োজিত এসব বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ সদরদপ্তর ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুইমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে চলমান ও ভবিষ্যত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সাফল্য, অনুকরণীয় ভূমিকা ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গাম্বিয়ার শান্তিরক্ষী; বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চান। শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আগে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাতে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা দেয় সেজন্য অনুরোধ করেন তিনি। এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরেন। গাম্বিয়ার পুলিশ বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ সহায়তা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের পুলিশের সক্ষমতা সম্পর্কে গাম্বিয়ান প্রতিনিধিদলকে জানান আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে, বিশেষ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়েরের জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানবিক কারণে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, এ আশ্রয় আরো দীর্ঘায়িত করা অসম্ভব। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অত্যন্ত জরুরি।

বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা করেন তারা।

এদিকে জাতিসংঘের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল (ইউএসজি) এর সাথে বৈঠকেও বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া সন্ত্রাস দমন বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতি তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের এই অফিসের সাথে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারও হিসেবেও তিনি বর্ণনা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ উদ্যানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু বেঞ্চ ও রোপনকৃত বৃক্ষ পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়