‘সন্তানদের জবাবদিহি না করায় কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে’

সন্তানদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এসব না করার কারণে কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। কিশোর গ্যাং তৈরিতে সহযোগিতা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংদের সমাজের মূল স্রোতে আনা হবে। আর যদি কেউ না আসে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নবাগত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক এ কথা বলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি বলেন, সেবক হতে হলে বন্ধু হতে হয়। বন্ধু হয়েই আপনাদের সেবা দিতে চাই। তবে আমরা সবার বন্ধু হতে চাই না। মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের বন্ধু নয়। নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে ‘হ্যালো কেএমপি’ অ্যাপস তৈরি করা হবে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে সহজেই নগরবাসী সেবা নিতে পারবে।

মাদক বিষয়ে কেএমপি কমিশনার বলেন, মাদক বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। আমাদের দেশেও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও একই অবস্থা। শুধু নিম্নবিত্ত নয়, উচ্চবিত্তসহ সব সেক্টরে মাদকের করাল গ্রাস রয়েছে। মাদক ব্যবসা করে অনেকে ফুলে ফেঁপে যাচ্ছে। এমন রাঘব-বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই কোনো পুলিশ সদস্য যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও একই আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে চলবে না। মাদক ব্যবসায়ীর চেয়ে সাধারণ মানুষের সংখ্যা বেশি। সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ট্রাফিক শৃঙ্খলা কেউ মানতে চায় না। সবাই ট্রাফিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে। মূল সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কর্মকর্তা হলেও সুযোগ নেই। মামলা দেওয়া হবে।

নগরবাসীকে ট্রাফিক আর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে সব করা হবে। হাইড্রোলিক হর্ন, ঝিকঝাক বাতির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবাই নিয়ে ফুটপাতে মুক্ত করার চেষ্টা করবো।

সভায় খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।