মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সঞ্জীব চৌধুরীর চলে যাওয়ার ১৭ বছর

Paris
নভেম্বর ১৯, ২০২৪ ১:১৬ অপরাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

দেশের সাংবাদিকতা ও সংগীত জগতের এক কিংবদন্তির নাম সঞ্জীব চৌধুরী। ভক্তদের কাছে তিনি প্রিয় সঞ্জীবদা। আজ ১৯ নভেম্বর এই মানুষটির ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।

কবি, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও সংগঠক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছেন সঞ্জীব চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন তিনি। ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ ও ‘যায়যায়দিন’সহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ কাজ করেছিলেন যায়যায়দিনের ফিচার এডিটর হিসেবে। দেশের দৈনিক পত্রিকায় ফিচার বিভাগের যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনন্য।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি সংগীত ও কবিতায় সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী। তার গানে সমাজ, দেশ ও রাজনৈতিক সচেতনতার প্রতিফলন পাওয়া যায়। ‘শঙ্খচিল’ দলে সংগীতচর্চা করতেন সঞ্জীব। ১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে গড়ে তোলেন ‘দলছুট’ ব্যান্ড। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পার যৌথ উদ্যোগে এই ব্যান্ডের প্রকাশিত অ্যালবামগুলো হলো- ‘আহ্ (১৯৯৭)’, ‘হৃদয়পুর (২০০০)’, ‘আকাশচুরি (২০০২)’ এবং ‘জোছনা বিহার (২০০৭)’।

সঞ্জীব চৌধুরীর সুর ও গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘বায়োস্কোপ’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘আমি তোমাকেই বলে দিব’, ‘রিকশা’, ‘কথা বলব না’, ‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে’, ‘চোখ’, ‘আহ ইয়াসমিন’ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম সঞ্জীব চৌধুরীর। তার ছোটবেলা কাটে সেখানেই। অষ্টম শ্রেণির পর ঢাকার বকশী বাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এখান থেকেই ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন।