সচিবালয়ে চাপ কমাতে রাজশাহীতে প্রশাসনিক কেন্দ্র স্থাপনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সচিবালয়ের ওপর চাপ কমাতে রাজশাহীতে একটি আঞ্চলিক প্রশাসনিক কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংগঠন রিটায়ার্ড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (রোয়া)। এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি। সোমবার সকালে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীরের মাধ্যমে তাঁরা স্মারকলিপিটি দেন।

অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ দিন বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান। তাঁরা রাজশাহীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মো. শরিফুজ্জামান। সভায় রোয়ার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রোয়া বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মোট ২৫টি দাবি পেশ করেন।

অন্য দাবিগুলো হলো- গ্যাসের অপচয় বন্ধ করতে রাজশাহীতে গ্যাস মিটার সংযোজন এবং বাসাবাড়ীতে নতুন গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করা; রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প বাজেট গত ৫ বছরেও অনুমোদিত না হওয়ায় এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা, পবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ বেডের হাসপাতাল ভবন নির্মাণ হয়েও চালু না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে চালু করা, রাজশাহী-ঢাকা ডবল রেল লাইন স্থাপন, রাজশাহী-চট্টগ্রাম বিরতিহীন ট্রেন চালু করা, ট্রেনে শাকসবজি ও কাঁচামাল পরিবহনে হকার্স ভ্যান সংযোজন ও ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সবজি হাট চালু করা; রাজশাহী-মংলা পুরানো বৃটিশ-ভারত নৌবন্দরটি পুনরায় চালু করা; আম, টমেটো, পেঁয়াজসহ পচনশীল ফসল সংরক্ষণ করতে রাজশাহীতে বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপন করা ও একটি সার কারখানা স্থাপন।

এ ছাড়াও দাবির মধ্যে আছে, রাজশাহীতে একটি করে আইন বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগীয় মেরিন একাডেমী, একটি ইপিজেড স্থাপন এবং অতীতে বিভিন্ন সরকারের আমলে রাজশাহী থেকে সরিয়ে নেওয়া অফিসগুলো পুণরায় রাজশাহীতে স্থানান্তর।

প্রবীণ কল্যাণে সংগঠনের পক্ষ থেকে গণপরিবহন এবং বিনোদনকেন্দ্রে ষাটোর্ধ নাগরিক ও প্রতিবন্ধীর ভাড়া ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বাসের সামনের দুইসারি আসন নির্দিষ্ট রাখা, কাউন্টারে অগ্রাধিকার, পেনশনার সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ ২০১৫ সালের মত পুনরায় ১৫ শতাংশ হারে প্রদান এবং কর মওকুফ করা; অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকরিজীবীদের বাৎসরিক বেতনবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ থেকে শতাংশে উন্নীত করা, প্রতিটি জেলায় উন্মুক্ত শরীরচর্চা ইউনিটসহ প্রবীণ পার্ক চালু করা; অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকরিজীবীদের মাসিক স্বাস্থ্য ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে প্রবীণ ও অসুস্থদের সেবায় পেশাভিত্তিক কেয়ার গিভার ট্রেড অর্ন্তভুক্ত করা এবং কর্মক্ষম অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রবীণ নাগরিকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ট্রান্সফার করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, সেবা ও উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানে সামান্য ভাতা বা সম্মানীর বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজের সুযোগ প্রদানের দাবি জানানো হয়। এসব বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারেরও হস্তক্ষেপ কামনা করে রোয়া। বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির বিষয়ে কাজ করবেন বলে রোয়ার সদস্যদের জানিয়েছেন।

স/অ