সকল প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আসছে, চিহ্নিত ২৫ লাখ

দেশের সকল প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আসছে। এ জন্য প্রতিবন্ধীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ২৪ লক্ষ ৮১ হাজার ১৯৯ জন প্রতিবন্ধীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের সেবা ও সাহায্য কাঠামোর আইনি ভিত্তি দিতে ‘প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আইনি কাঠামো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় ও পরিসংখ্যান ব্যুরোকে সমন্বিতভাবে প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য শবনম জাহান জানান, বৈঠকে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আইনি কাঠামো তৈরি করা, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের জনবল, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অর্গানোভুক্তকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে যথাযথভাবে প্রতিবন্ধীদের চিহ্নিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ কাজে সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটি সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ প্রণয়নের পর প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যায় বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় প্রতিবন্ধিতার ধরন ও উন্নয়ন বিবেচনায় নিয়ে একটি শনাক্তকরণ জরিপের মাধ্যমে পরিচয়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ১২ ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষকে শনাক্ত করতে ২০১১-১২ অর্থবছরে ১২টি উপজেলা ও দুটি ইউসিডিতে প্রাথমিক প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়।

এই প্রকল্পের আওতায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি সমাজকর্মী পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রসমূহের পরামর্শকবৃন্দ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারদের দ্বারা শনাক্তকরণের মাধ্যমে সনদপত্র দেওয়া হয়। পরে সারা দেশে প্রতিবন্ধী জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে।

বৈঠকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান এবং কমিটি সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আরমা দত্ত ও শবনম জাহান অংশ নেন। বৈঠকের শুরুতে শারীরিক প্রতিবন্ধী তামান্না আক্তার নূরার প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় (পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি) ধারাবাহিকভাবে জিপিএ ৫ অর্জন করায় ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সংসদীয় কমিটি থেকে ওই ধন্যবাদ প্রস্তাব তামান্না আক্তারের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ