বৃহস্পতিবার , ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘সংস্কৃতির বিকাশ কুসংস্কার ভেঙে আলোর পথ দেখায়’

Paris
অক্টোবর ২৬, ২০২৩ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি:

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন সংস্কৃতির বিকাশ কুসংস্কার ভেঙে আলোর পথ দেখায়। সম্প্রীতির বন্ধন শক্ত করে। এ কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি কালচার রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার।

নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিবপুর বারোয়ারী দুর্গা মন্দির কমিটির আয়োজনে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর পরেরদিন একাদশীতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এই ঐতিহ্যবাহী নৃত্য প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথ ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নওগাঁ জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ত্রিশুল নামে একটি সংগঠন। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে সংগীত ও নৃত্য অনুরাগী প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার। ত্রিশূল দেশ বিদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি তুলে ধরতে কাজ করছে। বিদেশ থেকে তারা সন্মানও বয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

শিবপুর বারোয়ারী দুর্গা মন্দিরের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালী নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে আসছে বংশ পরম্পরায়।আমরা এটাকে ধরে রাখতে চাই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশকে উন্নত করতে হলে সকল সম্প্রদায়কে সমানভাবে তৈরি করতে হবে। তাই মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি কালচার যাতে হারিয়ে না যায়, তারা অন্য ধর্মের প্রতি যাতে আকৃষ্ট না হয়, সে জন্যই ১৯৬২ সাল থেকে আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। আগে অল্প পরিসরে হলেও বর্তমানে তা বড় পরিসরে হচ্ছে।

তিনি বলেন,বাংলাদেশ অসম্প্রায়িক দেশ। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা যার যার ধর্ম পালন করবো। প্রত্যেক ধর্মকে আমরা সম্মান করবো। ধর্মের গোঁড়ামীকে আমরা পছন্দ করি না। নৃত্য প্রতিযোগিতা একটা একটা মিলন মেলায় পরিণত হয়।এখানে ভাবের আদান প্রদান হয়।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী -পুরুষ ও তরুণ-তরুণীরা এ নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এবার ৩৫ দল এই নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মোরশেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলার জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক , নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম এবং ত্রিশুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার।

পরে খাদ্যমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর