‘সংস্কৃতিচর্চাই আমৃত্যু মনোবলে বলিয়ান বর্ষিয়ান নাট্যপুরুষ নান্নু’

নজরুল ইসলাম তোফাঃ

খেলাধুলো, ছবি আঁকা, গান গাওয়া, সাহিত্য রচনা, নাটক নির্মান, নাটকে অভিনয় এইসব করতে আলাদা মন লাগে। এসব ক্ষেত্রে ঘটা করে প্রতিযোগিতার আয়োজন না থাকলেও যারা যেটা ভালবাসে, সেটার চর্চা চালিয়ে যায় নিজ তাগিদে, আর সেই চর্চায় শিল্পীর সঙ্গে আত্মিক ও বৌদ্ধিক উন্নতি ঘটে। শিল্পী নিজের ভেতরেই নিজেকে উন্নত করার চেষ্টায় সর্বদা প্রস্তুত থাকেন, এ যুগের সমকালীন শিল্পী, সাহিত্যিক, নাট্য নির্মাতা, অভিনেতা, অভিনেত্রীরা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আরো ভালো হবার তাগিদ অনুভব করেন, আর সেই তাগিদেই তাঁদের নাম ছড়ায় দেশে বিদেশে। তার জন্য প্রতিযোগিতার কোন দরকার পড়ে না একেবারেই প্রথম হবার। এই সব মৌলিক বিনোদনের ক্ষেত্রে ভীমসেন যোশীকে বব ডিলান হয়ে উঠতে হয় না, এমনকি আলি আকবর খানও হতে হয় না, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও টেনিসনের সঙ্গে লড়াই করে ‘জিততে’ হয়নি কখনো। অথচ আজ দৌড়ের সব ব্যাকরণ মেনে চলেও কেউ কেউ শুধু প্রদীপের আলোয় আলোকিত থাকতে চান। সুতরাং মৌলিক প্রশ্নটা হল এই যে, প্রতিযোগিতার আসর না বসালে যে গুণপনা বিশেষ উন্নয়ন হয় না। এমন বিষয়কেই গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ বৈকি? যদি মানুষের দৌড়ের সর্বনিম্ন সময় খুবই কম, স্বল্প সময়ে জীবনে রেখে যাওয়া অর্জনটাই থাকে যুগ যুগ। এমনি একজন ব্যক্তি, পরিবাহিক রক্তের ধমনি শিরা-উপশিরায় সর্বদা কথা বলে অভিনয়ের সংলাপে, নাট্য পরিচালনায়। নাট্যজীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে যিনি দর্শক নন্দিত তিনিই অভিনয় জগতের একজন মহীরূহ পুরুষ মাহমুদ সরকার নান্নু।

রাজশাহী সাংস্কৃতি অঙ্গনে ব্যাপক তাঁর পরিচিতি এবং টেলিভিশন জগতেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে সুদীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবত। রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলে নাট্য জগতে রয়েছে তাঁর অবাধ বিচরণ। তাছাড়াও একজন সফল মেকাপ ম্যান, সেট নির্মাণ বা মঞ্চ সজ্জার রুপকার, নাট্য পরিচালক ও প্রয়োজকের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রমী ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। একাধারে তিনি রেডিও, মঞ্চ, পথ নাটকের সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি মিডিয়া নাটকে অনেক চমৎকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আসলেই তাঁর চ্যানেল নাটক নির্মাণের যোগ্যতা কোন অংশেই কমতি নেই। অনেক নাটক নির্মাণ করেছেন এবং সেসব নাটকে অভিনয় করে চ্যানেলে চ্যানেলে প্রচার করেছেন। নাট্যাঙ্গনের এই পরিচিত মুখ নান্নু, অনেক মঞ্চ ও শুটিং স্পর্টের সেট পরিকল্পনার সহিত লাইটিং এবং সাউন্ড ইফেক্টের জন্য একজন দক্ষ ডিজাইনার।

জীবনের শুরুতে নাটকে হাতে খড়ি তাঁর নাট্যগুরু আনোয়ারুল ইসলামের রচনা ও পরিচালনায় ‘রক্তের রং লাল’ নাটকে। তিনি জানালেন এই নাটকে শিশু চরিত্রে ভালো অভিনয় করেছেন। রাজশাহীর পুরনো এক ভূবন মোহন পার্কের উম্মুক্ত মঞ্চে। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পড়ন্ত বিকেল। পরে তিনি অভিনয়ের অভিজ্ঞতা পরিপূর্ণতা এনে অর্জন করে সাফল্য, তারপর ধিরেধিরে রাজশাহী বেতারের অনিয়মিত নাট্যকার, নাট্যশিল্পী ও প্রযোজক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর প্রযোজনা ও রচনা নাটক হচ্ছে আলোকিত প্রেম কুমার, শেষ বিদ্ধান্ত, অন্যরকম বোঝাপড়া এবং আবুল আশরাফ রচিত বসন্তে ফুটলো ফুল নাটকের প্রযোজনা কাজ তিনি সুদক্ষ ভাবে সম্পূর্ণ করেছিলেন। বর্তমানে তাঁর রচিত যে তিনটি নাটক প্রচারের অপেক্ষায় তা হলো হ্যাবলা হাবুর কান্ড, অস্তিত্বের লড়াই, রক্তাক্ত পলাশী। আবার নজরুল ইসলাম তোফাকে জানালেন, প্রয়াত পরিচালক নাট্যগুরু গোলাম পাঞ্জাতনের জীবদ্দশায় তিনি তাঁর সাথে অনেক গুলো নাটকে নির্মান কাজে সহযোগিতা ও অভিনয় করেছেন। নাট্যগুরুর মৃত্যুর আগ মুহুর্তে নান্নু তাঁর সাথে দেখা করে নাটক সংক্রান্ত অনেক তালিম নিয়েছিলেন এবং নাট্যগুরু বলেছিলেন যে, তাঁর নাটক গুলো যেন সংগ্রহ করে রাখা হয়, প্রচার করা হয়। সুতরাং সে কথা নান্নু রেখেই ম্যাই টিভিতে প্রচার করেন জনপ্রিয় নাটক ‘ভন্ড উপাখ্যান’। যাকি না, গত ১৭ জানুয়ারী ২০১৬ সালে রাত ১১ টায়, বঙ্গবন্ধু প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রচার হয়।

১৯৬৪ সালে রাণীনগর (হাদির মোড় এলাকায়) সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে মাহমুদ সরকার নান্নু জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবা আলী আকবর সরকার সি এন্ড বি অফিসে হেডক্লার্ক পদে চাকরি করতেন। তাঁর বাবা আর এম পি ডি ক্লাবে নাট্যচর্চা করেছিলেন। শুধুই বাবা যে নাট্যচর্চায় ছিলেন তা নয়, পরিবারের অন্যান্য গুনোধর সদস্যরাও বেশ এগিয়ে ছিলেন। মাহমুদ সরকার নান্নু জানালেন, পাঁচ ভাই তিন বোন নিয়ে তাঁর বাবা এক বড় সংসার। তিনি পাঁচ ভাইদের মধ্যে তৃতীয় বড় ভাই শ্রদ্ধেয় গোলাম কিবরিয়া নাট্যশিল্পী, মেজো ভাই আব্দুল মান্নান সন্ধানী সাংস্কৃতিক সংস্হার পরিচালক এবং বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গীত শিল্পী। আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে অঙ্কুর ও বড় মেয়ে অন্তরা উভয়েই সঙ্গীতশিল্পী। নজরুল ইসলাম তোফাকে বলেন, সেই যে শৈববে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জগতে আনাগোনা তারই রেশ ধরে আজও নাট্যাঙ্গনে কাজ করছেন। প্রথম দিকে নৈশভোজ, সূর্যমহল, দায়ি কে, রনদুন্দভি, মুখোশ যখন খুলবে, ডাকাত, পাকা রাস্তা নাটকে অভিনয় ও পরিকল্পনা করেন। যাত্রা পালা জগতেও তাঁর বিচরণ রয়েছিল, সেহেতু সে জগতে অসংখ্য যাত্রা পালা করেছেন এবং রেডিওতে প্রচার হয়েছে। বাঈনুদ্দিন সরকার বানু পরিচালিত অনেক ঐতিহাসিক এবং সামাজিক যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন। যেমন: ময়না মতির মায়া, আনার কলি, অভিশপ্ত ফুলসজ্জা, একটি পয়সা, রূপ হলো অভিশাপ, রাণী ভবানী, টিপু সুলতান, নাচ মহল, সিরাজ-উ-দৌল্লা এছাড়াও নিজস্ব চিন্তার আলোকে পরিচালনা করেন অনেক যাত্রাপালা এবং তাতে অভিনয় করে দর্শক নন্দিত হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন বারবার।

সংসার জীবনে দুইপুত্র অনিক মাহমুদ ও অরিত্র মাহমুদ নিয়ে কষ্টেশিষ্টে কোন ভাবে চলছেন। বড় ছেলে অনিক মাহমুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পরিসংখ্যানের মেধাবী ছাত্র এবং সহধর্মিনী জেসমিন মাহমুদ জাপানি একজন গৃহিণী। ছোট ছেলে তাঁর পড়াশুনা করে তাইফ মন্তেশ্বরী স্কুলে। এক দিকে ছেলেদের চাহিদা মতো লেখাপড়ার খরচ যোগাতে ব্যর্থ অন্যদিকে সহধর্মিনীর জটিল রোগের চিকিৎসা খরচেও অনেক অংশে ব্যর্থ, সব মিলিয়েই বর্তমানে তিনি আর্থিক দৈন্যতায় জীবন অতিবাহিত করছেন। সৃজনশীল কোন কাজে উল্লসীত ভাবে অগ্রসর হতেই যেন এক চরম বাধা। মনে হাজারও যন্ত্রণা নিয়ে নাট্যাঙ্গনের নাটকে তবুও আজ গভীর স্বপ্নে বিভর। অপরদিকে নাট্যপ্রেমী মাহমুদ সরকার নান্নু বলেন, মনে সৃষ্টির যন্ত্রণা না থাকলে সৃজনশীল কোন কাজ করা যায় না, তার যথাযত প্রমান রেখে চলেছেন এটিএন চ্যানেলে প্রচারিত ধারাবাহিক ক্রাইম প্রেট্রোল নাটকে। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় পোনে আটটায় তা প্রচার হয়। দ্বীপ্ত টিভিতে শ্যামল বিশ্বাসের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক অপরাজিতা প্রতি মঙ্গলবার ও বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় প্রচার হয়। তিনি সেখানেও চমৎকার অভিনয় দেখিয়ে দর্শক নন্দিত হয়েছেন। রহমতউল্ল্যাহ তুহিন পরিচালিত টক অব দ্যা টাওন নাটকে অভিনয় করেন। এটি অবশ্য চ্যানেল আইতে রবিবারে সন্ধ্যা ৮টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হয়। অঞ্জন আইচ পরিচালিত খাঁচা ২৬ মার্চ বেলা ২ টায় তাঁর অভিনীত নাটক বৈশাখী চ্যানেলে প্রচার হয় এবং মাছ কই নাটক ১৭ জানুয়ারি চ্যানেল আইতে বেলা ২ টায় প্রচার হয়। সুমন আহমেদ পরিচালিত এই নাটকেও নান্নু অভিনয় করেছেন। ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত অপেক্ষার হালচাল নাটকে সফল অভিনয় সহ তাঁর নিজস্ব পরিচালনা ও অভিনীত নাটক থাবা, যা ম্যাই টিভিতে ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৮ টা ৪৫ মিনিটে হয়। তাছাড়াও অন্যান্য নামি দামি অসংখ্য পরিচালকের নাটকে অভিনয় করে দর্শকনন্দিত হয়েছেন।

ফিরে যাই একটু গুড়ার দিকে, নান্নুকে জানতে ও চিনতে রাজশাহী বাসীর এমন কোন লোক নেই যে তাঁকে চিনে না। এমন প্রতিভাবান নাট্যপ্রেমী মানুষ আধুনিক যুগের তরুণ তরুণীদের সাথে নাটকে অভিনয় ও পরিচালনার কাজ করছেন। যুগোপযোগী চিন্তা নিয়ে নাট্যাঙ্গনে নিজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন নাট্যগুরু গোলাম পাঞ্জাতের পরিচালনায় বহু নাটকে অভিনয় করেছেন। যেমন: রক্ত গোলাপ, পরিনতি, এখন দুঃসময় ইত্যাদি। উত্তরা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির জন্ম লগ্ন থেকে গাঁয়ের বধু, বিদ্যা লংকার প্রেস এছাড়াও বিভিন্ন নাটকে অভিনয় ও নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছেন। এরপর নাট্যাচার্য অনীল বন্ধু রায়ের পরিচালনায় ‘ঘটনা ও কাহিনী’, মানুষ নাটকে অভিনয় করে রাজশাহীতে ব্যাপক পরিচিত হন। তিনি রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘের আজীবন সদস্য। এখানে তিনি ‘চারিদিকে যুদ্ধ’, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ চোর, ড়ীর চরের রাঙ্গা বুড়ি, ইলেকশন ক্যারিক্যাচার নাটকে অভিনয় করেন। সে সময়ে তিনি ‘শিমুল গাঁয়ের বলির বয়ান’, ‘হারাধনের দশটি ছেলে’, ‘জুতা আবিস্কার’, নাটকে দক্ষতার সহিত নির্দেশনা দিয়ে মঞ্চ সফল হিসেবে দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে ছিলেন। মাষ্টার তোফাজ্জল হোসেন পরিচালিত ‘বট তলার মোড়ে’, ‘জিন্না হকের মানুষ’, এক যে ছিল কুটনি বুড়ি’, ‘ভাঙ্গা মেলা’, ‘দিন বদলের পালা’, ‘বেজন্মা হ্যাবলা স্বদেশ’, ‘পলাশি থেকে একাত্তর’, এবং পথ নাটকে খ্যাপা পাগলার প্যাচাল নাটকে অভিনয় করেছেন। ১৯৮০ সালে তিনি বেতার শ্রুতিনাট্যে অডিশন দিয়ে পাশ করে তালিকা ভূক্ত শ্রুতিনাট্যের গুনি শিল্পী হয়েছেন। সেই থেকে অদ্যাবধি নিয়োমিত জীবন্তিকা ও বিভিন্ন শ্রুতিনাট্যে অংশ গ্রহন করেন এবং ১৯৮৫ সালে বিটিতে অডিশন দিয়েও পাশ করে অনেক লোককথা নাটকে অভিনয় করেছেন। তাছাড়া নাট্য পরিচালক রাশেদুল হক পাশা রচিত ‘মোটর সাইকেল’ নাটকে অভিনয় করেছেন।

নাট্যকার, পরিচালক এবং অভিনেতা নান্নু, নজরুল ইসলাম তোফাকে বলেন, তাঁর জীবন যাপন সেকেলের সাহিত্যিক, নাট্যকার ও অভিনেতাদের আদলে না রেখে যুগোপযোগী শিল্পচর্চা নিয়ে আধুনিক প্যাটার্নে চলেন। একদা এক প্রাচীন সংস্কৃতির নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতাদের যেসব ভাবধারা কখনো সখনো খুব জরুরী মনে হয়েছে তা কাজেও লাগিয়েছেন। মানুষ ও বিশ্বজগৎ সম্পর্কে তীব্র যুক্তিবাদী প্রতিবাদ সহ নানান শিল্পমতবাদের পরিপোষক ভাব-ধারণায় মাহমুদ সরকার নান্নু’ তাঁর নাটক ও অভিনয় জীবনে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলো এতো বিরাট ও শক্তিশালী তা কেবলই মর্মান্তিক নয়, ভয়ঙ্করও বটে। জীবনের শেষ দিকে এসে তিনি অনেক অভাবের সংসার নিয়ে প্রতিটি মুহুর্ত কষ্টে কাটাচ্ছেন। সারা জীবন তিনি নাট্যাঙ্গনে ত্যাগী এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে রয়েছেন, তিনি কোন দিন বাঁধা রাস্তায় চলেননি, বাঁধা গৎ আওড়াননি, কর্মজীবনে তিনি আর পাঁচ জন নাট্যকার, পরিচালক এবং অভিনেতাদের মতো একই চিন্তার পুনরাবৃত্তি করেনি। সমসাময়িক জীবনে অনেক অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এবং এদেশের সমস্যাসঙ্কুল পরিবেশ ও জীবনের অনেক আকস্মিক পরিণাম সম্পর্কে নান্নু মোটেও উদাসীন ছিলেন না। তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে বলেন, সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে মঞ্চ নাটক এবং রাজশাহীর গুনিজনদের নিয়ে জীবন ভিক্তিক ডকুমেন্টরি তৈরীর বাসনা পোষন করেন। তাছাড়াও জানালেন আমৃত্য সাংস্কৃতি চর্চা করতে পারেন সেটা ছাড়া আর কোনো কিছুর কামনা করেন না।