সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস-আমরা কাজ করছি, ভালো কাজ করছি। ভালো কাজ মানুষকে জানান দিতে হবে। সবার কাছে তা পৌঁছাতে হবে।’ জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন কাজের রূপরেখা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কে এম নূরুল হুদা কমিশনের অধীনে এ নির্বাচন হবে।

 

ইসি সচিব জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে আগামীতে কী কী করণীয় রয়েছে, কাজগুলো কত দিনের মধ্যে করতে হবে- তার জন্য একটি তালিকা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘পরিকল্পনা করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা কোন কাজটা কবে করতে চাই। এগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক করে কমিশন সভার জন্য প্রস্তুত করা হবে। পরবর্তীতে সেগুলো ফলোআপ করা যে, যেই সময়ে যেই কাজটা করার কথা সেটি করা হলো কি না তা চেক করা। যাতে কোনো কাজ ঝুলে না থাকে।’

 

সচিব জানান, ইসির কর্মপরিকল্পনার মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থার নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মুদ্রণ ও আলোচনার জন্য সম্ভাব্য সূচি থাকবে। সেই সঙ্গে সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করে কাজ শেষ করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে।

 

সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনের পথে করণীয় নিয়ে একটা কর্মপরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে একটা রোডম্যাপ, যার ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করা হবে।’

 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি ইসির কর্মপরিকল্পনায় থাকবে কি না জানতে চাইলে আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক দল, মিডিয়া, সুশীলসমাজ সবার সঙ্গেই সংলাপের প্রস্তাবনা থাকবে। আমি মনে করি সবার সঙ্গেই সংলাপ করার দরকার আছে। তবে এটা থাকবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।’

 

আবদুল্লাহ আরো বলেন, ‘মিডিয়ার সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন এই কারণে যে আমরা তো ভালো কাজ করছি। ভালো কাজ শুধু করলেই হবে না। তা মানুষকে জানাতেও হবে যে, ভালো কাজ হচ্ছে।’

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সম্পর্কে আবদুল্লাহ বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দল সব সময়ই নিবন্ধনের জন্য সব সময়ই আবেদন করতে পারেন। তবে এটা কমিশন কীভাবে প্রসেসিং করবে তা কমিশন ঠিক করবে।’

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা সম্পর্কে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনে থাকা পর্যবেক্ষকদের মেয়াদ গত বছরের জানুয়ারি শেষ হওয়ার পর এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সে  অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন  দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

সূত্র: এনটিভি