শ্রীলংকায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় রশিদ খানের টুইট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শ্রীলংকার সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা নিয়ে টুইটবার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন রশিদ খান। আফগানিস্তানেরে এই তারকা লেগ স্পিনার বলেন, শ্রীলংকায় যা ঘটেছে তা ন্যাক্করজনক। এটা মানবতার পরিপন্থি। হতাহতদের পরিবারের প্রতি প্রার্থনা এবং সমবেদনা জানাচ্ছি।

এর আগে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি নিজের টুইটারে বলেন, ‘শ্রীলংকার সিরিজ বোমা হামলার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ভয়াবহ হামলায় মানব জীবনের ক্ষতি আমাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। হতাহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা এবং আমার ভাই ও বোনদের জন্য প্রার্থনা রইল। আসুন আমরা মানবতার কল্যাণে এক হই, সন্ত্রাসীদের পরাজিত করি।’

শ্রীলংকায় একযোগে গির্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। এমন নৃশংস হামলার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটাররা।

টুইটবার্তায় বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, শ্রীলংকার সিরিজ বোমা হামলার খবর শুনে আমি অবাক হয়েছি। এই ক্ষত ভুলে যাওয়ারও নয়। শ্রীলংকার হতাহত মানুষের জন্য আমাদের দোয়া ও প্রার্থনা রইল।শ্রীলংকায় হামলা নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

রোববার দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে টুইট করেন তামিম ইকবাল। টুইটবার্তায় তামিম বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ধরণের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পৃথিবীতে কোন স্থান নেই। ঘটনায় নিহত এবং আহতদের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাই।’

এর আগে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টুইট করে বলেন, ‘এই ধরণের খবর শুনতে আর ভালো লাগে না। ঘটনায় নিহত এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সহানুভূতি। এসব ঘটনা প্রমাণ করে পৃথিবীতে কোনো দেশই এখন আর নিরাপদ নয়।’

তাদের এ টুইটে শতাধিক মানুষ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা সবাই শ্রীলংকার এ ট্রাজেডিতে নিন্দা ও শোক জানান।

প্রসঙ্গত, শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোসহ অন্যান্য এলাকার তিনটি গির্জা ও তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে কয়েক দফা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে। নিহতের মধ্যে অন্তত ৩৫ বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।

রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির ক্যাথলিক গির্জায় তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া কলম্বোর মূল কেন্দ্রে অবস্থিত তিনটি বিলাসবহুল হোটেল সিন্নামন গ্রান্ড, কিংসবুরি ও শ্যাংরি লা হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটে।

তবে হামলার ধরণ নিয়ে এখনও পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়নি। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে রাজধানীর একটি গির্জায়। প্রায় আধঘণ্টা পরে পরবর্তী হামলাগুলো ঘটে।

কলম্বোর জাতীয় হাসপাতালের পরিচালকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এছাড়াও তিন শতাধিক লোক এ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।