শ্রীপুরে ব্যাগে ভরা নারীর খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ঘরের ড্রেসিং টেবিলের বক্সের ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডবিখণ্ড মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে পরীক্ষা করে তা নারীর বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে।

গত সোমবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার আসপাডা মোড় এলাকা থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনার পর তা কোরবানির গোশত কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।

খণ্ডিত টুকরোগুলো মানুষের কিনা তা নিশ্চিত হতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষার পর মানবদেহের খণ্ডিত অংশ বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মানবদেহের খণ্ডিত অংশগুলো ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার নিজাম উদ্দিনের মেয়ে সুমি আক্তারের (২৩) বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুমি শ্রীপুর উপজেলার গিলারচালা এলাকার সাবলাইম গ্রিনটেক নামের পোশাক কারখানার অপারেটর ছিলেন। স্বামী মো. মামুনের (৩৫) সঙ্গে আসপাডা মোড় এলাকার নাইম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সুমি। এ ঘটনার পর তার স্বামী পলাতক রয়েছেন।

এসআই আরো বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সুমির ছোট বোন বৃষ্টি তাকে একাধিকবার মোবাইলে কল করেও না পেয়ে শনিবার স্বামীকে নিয়ে আসপাডা মোড় এলাকায় বোনের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে তাঁর স্বামী মামুনের সন্ধান পান এবং তাকে নিয়ে বাসার দিকে রওনা দেন তারা। একপর্যায়ে মামুন কৌশলে পালিয়ে যান। ঈদের দিন সোমবার বিকেলে স্বামীকে নিয়ে বৃষ্টি আবার আসপাডা মোড় এলাকায় সুমির ভাড়া বাসায় যান এবং ঘরের ভেতরে ঢোকেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ড্রেসিং টেবিলের নিচ থেকে মেঝেতে রক্তাক্ত পানি গড়াতে দেখতে পান তারা। এরপর ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার খুলে চার পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত টুকরাগুলো উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে খণ্ডগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত হতে পুলিশ তা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করে খণ্ডগুলো এক নারীর।