শ্রীপুরে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গাজীপুর শ্রীপুরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন যুবলীগ নেতা নুরে আলম, কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জুলহাস উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা রনিসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে নুরে আলমকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জুলহাস উদ্দিনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত রনিসহ উভয়পক্ষের ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাওরাইদ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মণ্ডল জানান, কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সমর্থক স্থানীয় হারুন ফকিরের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরের দিকে কমপক্ষে ৩০ জনের একদল যুবক কাওরাইদ বাজারে মহড়া দেয়।

এক পর্যায়ে তারা কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে বাজারের চা দোকানি জাহিদ হোসেনের প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বড় ভাই সুলতান উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এতে বাধা দিতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রনির সঙ্গে হামলাকারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তাদের হামলায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা চলে যায়। এ ঘটনার পর বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে হারুন ফকিরসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্বাচনের আগে সেতু ফকির রনিকে বাজারে উঠতে নিষেধ করে। সোমবার দুপুরে রনিকে বাজারে দেখতে পেয়ে সেতু ফকির কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রনিসহ উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।