নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বিচারপতি নিয়োগের দাবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সংবিধান মোতাবেক ও নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দ্রুত উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেন, বিচারপতি নিয়োগ হোক সেটা আমরাও চাই। তবে সেটা হতে হবে সংবিধানের ৯৫ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। হাইকোর্ট কর্তৃক গত বছরের ১৩ এপ্রিলের রায়ের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে দেশের আইনজীবী সমাজ এবং জনগণ তা গ্রহণ করবে না।

সোমবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সম্পাদক এম ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সহসভাপতি যথাক্রমে গোলাম রহমান ও কাজী মো. জয়নাল আবেদীন, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার প্রমুখ।

জয়নুল আবেদীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে বিচারপতি স্বল্পতা বিদ্যমান। আমরা গত বছরের ২১ আগস্ট সাধারণ সভায় সংবিধান মোতাবেক নীতিমালা প্রণয়ন অথবা হাইকোর্টের রায়ের আলোকে বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলাম। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগের দাবি করেছিলাম। পরে জানতে পারলাম আইনমন্ত্রী বিচারপতি নিয়োগে খসড়া প্রণয়ন করছেন। এখন শুনতে পাচ্ছি খসড়া নীতিমালা না করেই সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

বার সভাপতি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে অবশ্যই দক্ষ, মেধাবী এবং যোগ্যতাসম্পন্ন বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে একমাত্র যথাযথ বিচারকার্য পরিচালনায় সক্ষম হবে। এখানে বিচার পরিচালনা হবে দলমতের ঊর্ধ্বে। বিচারপতিরা সংবিধান মোতাবেক নিয়োগ পাবেন, শপথ নেবেন। এটাই সপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি এবং দেশের জনগণ আশা করে।

তিনি বলেন, সংবিধান মোতাবেক নীতিমালা প্রণয়ন না করে বা হাইকোর্টের রায়ের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ না করা হলে আইনজীবী সমাজ ও দেশের জনগণ তা গ্রহণ করবে না।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের দাবির পরেই আইনমন্ত্রী বলেছিলেন বিচারপতি নিয়োগে আইন হচ্ছে। এর আগে চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, বিচারক নিয়োগের আগে অবশ্যই বিধিমালা করা হবে। এখন হঠাৎ করে আবার সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিচারক নিয়োগ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যোগ্যতাহীন, মেধাহীন এবং দলীয় আনুগত্যের কারণে বিচারক নিয়োগ হলে সেই বিচারক চেয়ারে বসে দলের কাজ করবেন। এমন লোককে বিচারপতির আসনে বসাবেন না। আমরা আশা করছি সরকার মেধা ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেবে। আর নিয়োগের আগে নীতিমালা অনুসরণ করবেন। অন্যথায় আইনজীবীরা বরদাশত করবে না।

নীতিমালার আগে কোনো বিচারপতি নিয়োগে সুপারিশ না করার জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়ে খোকন বলেন, আপনি ভয় করবেন না। সাহসের সঙ্গে দায়িত্বপালন করেন সব জাতি আপনার সঙ্গে থাকবে।

81Shares