শেয়ার নিয়ে কারসাজি : ১৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সাড়ে ৪ কোটি

তালিকাভুক্ত নর্দান জুট ম্যানুফ্যাক্সারিং, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ফাইন ফুডস এবং স্টাইলক্র্যাফটের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করার দায়ে ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিউটিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৫৮তম কমিশন সভায় এ জরিমানা করা সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি জানান, ১৪ ব্যক্তিকে তিন কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং দুই প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মোহাম্মদ রেজাউল করিম আরও জানান, ইনফমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে জিমস মার্টিন দাস, ড. জে এম মুর্শিদ মো. নুরল ইসলাম কামরান এবং সহযোগী মনজিলা নাসরিন ইসলাম, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স-১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(ভি) ভঙ্গ করেছে।

আর নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে পরিমল চন্দ্র পাল এবং সহযোগী (রিপন শেখ, মল্লিক আবু বক্কর, মো. তোফাজ্জল হোসেন, বিধান মিস্ত্রী, অমল কৃষ্ণ দাস), সালেক আহমেদ সিদ্দিকী এবং সহযোগী (মনির হোসেন), সমির রঞ্জন পাল এবং সহযোগী (শিউলি পাল, চিত্ত হারান দত্ত), মো. আমানত উল্লাহ এবং সহযোগী (সেতারা বেগম, সন্দীপ কর্পোরেশন, হাল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রশান্ত কুমার হালদার) সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স-১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(ভি) ভঙ্গ করেছে।

এ অপরাধের জন্য বিনিয়োগকারী জেমস মার্টিন দাসকে দুই লাখ, পরিমল চন্দ্র পালকে ২০ লাখ, রিপন শেখকে ২০ লাখ, মল্লিক আবু বক্করকে ১০ লাখ, মো. তোফাজ্জল হোসেনকে ৪০ লাখ, বিধান মিস্ত্রীকে পাঁচ লাখ, অমল কৃষ্ণ দাসকে সাত লাখ, সালেক আহমেদ সিদ্দিকীকে সাত লাখ, সমির রঞ্জন পালকে ২০ লাখ, শিউলি পালকে ৫০ লাখ, চিত্ত হারান দত্তকে ১২ লাখ, মো. আমানত উল্লাহকে এক কোটি, সেতারা বেগমকে পাঁচ লাখ, সন্দীপ কর্পোরেশনকে ৬০ লাখ, হাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ৮৫ লাখ এবং প্রশান্ত কুমার হালদারকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ