বৃষ্টিতে ভিজে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশ

‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মানসকন্যা নয়, স্বৈরতন্ত্রের দানবকন্যা’

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ঢাকার মহাসমাবেশে যাওয়া চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাদের আগের দিন গ্রেপ্তার করেছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ হামলা করেছে। কিন্তু গ্রেপ্তার করেও অবস্থান কর্মসূচি ও মহাসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। মহাসমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে।

তিনি বলেন, আগামীতে আমাদের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যদি হামলা করে তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা নাকি গণতন্ত্রের মানসকন্যা। কিন্তু আমরা বলতে চাই, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মানসকন্যা নয়, স্বৈরতন্ত্রের দানবকন্যা। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আগামীতে যেকোনো কঠিন কর্মসূচি পালনে বিএনপি প্রস্তুত।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহবুবের রহমান শামীম।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।

এদিকে বিকেল চারটার দিকে সমাবেশ চলাকালে বৃষ্টি হানা দেয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে বৃষ্টি হলেও বিএনপি সমাবেশ চালিয়ে গেছে।

সভায় মাহবুবের রহমান বলেন, কয়েক মাস ধরে বিএনপি যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ কোনো না কোনোভাবে সেগুলোর কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা ও গ্রেপ্তার প্রমাণ করে সরকার দেশে একটা সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চায়।

সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সরকার গ্রেপ্তারের নাটক করেছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়ে মজার মজার খাবার খাইয়েছেন। আমরা জানতে চাই, তাদের সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মী যাদের গ্রেপ্তার করেছেন তাদের কি খাবার খাইয়েছেন? বরং ডিবি অফিসে গ্রেপ্তারদের জন্য যারা খাবার নিয়ে গেছে তাদেরও গ্রেপ্তার করেছেন। বড় দুজন নেতাকে ছেড়ে দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেন, মামলা দিয়েছেন।