শেখ রাসেল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক : শিক্ষামন্ত্রী

রাবি প্রতিনিধি:

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে শেখ রাসেল অন্যায়ের প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। তাই তারা শিশু শেখ রাসেলকেও সেদিন হত্যা করে। কিন্তু সেদিন দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।’ রোববার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শেখ রাসেল মডেল স্কুল’ উদ্বোধনকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঘাতকরা জানতো শুধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেই তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবে না। তারা জানতো শেখ মুজিবের বংশধর কেউ জীবিত থাকলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে বহু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড দেখেছি, সেখানে শুধুমাত্র যে রাজনৈতিক ব্যক্তিটি থাকে, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য অথবা রাজনৈতিক বিভিন্ন ফায়দা নেওয়ার জন্য হয়তো তাকে হত্যা করা হয়। অন্য কোথাও একজন মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তার পুরো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এমন ঘটনা ইতিহাসের বিরল। বঙ্গবন্ধু যখন তার স্বপ্নের বাংলাদেশ, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিতে শুরু করলো, ঠিক সেই সময়ে একাত্তরের অপশক্তি তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের দোসরদের নিয়ে নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে তার সপরিবারে হত্যা করেছে।’

স্কুল সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইট সংলগ্ন ৩ দশমিক ৯৪ একর এলাকা জুড়ে নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নতুন ভবন। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। ১৬ টি শ্রেণিকক্ষ সম্পন্ন এই স্কুলটিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী একযোগে ক্লাস করতে পারবে। স্কুলটিতে ৮টি ব্যবহারিক গবেষণাগার, একটি করে লাইব্রেরি, একটি কম্পিউটার-আইটি ল্যাবসহ আরো নানান সুবিধা রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আপনারা নিজেদের প্রজ্ঞা ও স্নেহ দিয়ে এই স্কুলের প্রতিটি শিশুকে এমনভাবে গড়ে তুলবেন তারা যেন হৃদয়ে শেখ রাসেলের আদর্শকে এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্র, কৃষ্টি, কালচারকে ধারণ করে। একই সঙ্গে শেখ রাসেলের নাম বিশ্ব দরবারে উন্নীত করে। অনুষ্ঠানে তিনি প্রতি বছর রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল পদক’ ঘোষণা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যাক্ষ লিসাইয়া মেহ্জাবিন। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেররা উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ/এস